ভিয়েতনাম থেকেও চাল আনতে আগ্রহী সরকার- খাদ্য উপদেষ্টা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ভারত,পাকিস্তান,মায়ানমারের পাশাপাশি ভিয়েতনাম থেকেও চাল আমদানি করতে আগ্রহী সরকার- এমনটাই জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য খালাস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভারত যেহেতু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী এবং সেখান থেকে আমদানি খরচ তুলনামূলকভাবে কম ও সস্তা দামে পাওয়া যায়। সেজন্য সেখান থেকে পণ্য আমদানি চলছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার আমাদের কাছে আরও চাল বিক্রি করতে আগ্রহী। আমরা তাদের সঙ্গে এক লাখ টনের চুক্তি করেছি। তারা আরও বিক্রি করতে চাচ্ছে। আমরা তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ ও সরবরাহের অবস্থা দেখে এরপর বিবেচনা করব। পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির ব্যবস্থা করেছি। ভিয়েতনামের সঙ্গেও আলোচনা চলছে।

সামনে রমজানকে ঘিরে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ার একটি শঙ্কা তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার কী ধরণের ব্যবস্থা নিচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজান মাসে আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় বিশেষ করে চাল ও গম সবচেয়ে বেশি দেখাশোনা করে। বাকি কিছু আইটেম দেখভাল করে টিসিবি। সেটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে। টিসিবিও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলায় প্রতিদিন দুই মেট্রিক টন চাল বিক্রি শুরু হয়েছে এ মাস থেকে। রমজান মাসেও এটা থাকবে। সারাদেশে ৫০ লাখ লোকের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হয়েছে। দরিদ্র শ্রেণির ৫০ লাখ লোক মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে ১৫ টাকা করে। আশা করছি, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনশীল থাকবে।

কৃষক বেসরকারি খাতে দাম বেশি পাওয়ায় সরকারকে চাল বিক্রি করতে চায় না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরকারি খাতে আমরা যখন দাম নির্ধারণ করি তখন উৎপাদন খরচ ও কৃষকের লাভ দুটিই ধরি। সেক্ষেত্রে আমরা যদি কিছু বাড়িয়ে ধরি কৃষক বিক্রি করবে। কিন্তু বাজারে দাম আরও বেড়ে যাবে, যদি সরকার বাড়তি দাম দিয়ে কিনে। আমাদেরকে ওখানেও ব্যালেন্স করতে হয়। কৃষকের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি দেখতে হয়। যেহেতু বন্যায় ফসল ক্ষতি হয়েছে, তাই এবার আমদানিতে টোটাল ট্যাক্স উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা সবসময় থাকবে না। আমাদের যদি ফসল ভালো হয় এটা আর থাকবে না।

এ সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন,খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আব্দুল খালেক ও বন্দর চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি 

Scroll to Top