চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ভারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের কিছু কিছু এলাকায় পানি জমেছে। গত তিন দিনের বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হলেও মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হয় ভারী বর্ষণ। যা বুধবার (৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে জলজটের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরের আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, হালিশহর, জিইসি, কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশসহ বেশ কিছু সড়কে জলজট তৈরি হয়েছে। পানিতে আগ্রাবাদ এলাকায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইঞ্জিন বিকল হতে দেখা গেছে। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে যান চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। এ কারণে বিপাকে পড়েন শিল্পকারখানা, অফিসগামীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা ভাড়া বাড়তি আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই।
চাকরিজীবী মো. শাহ আলমের বলেন, ‘আমার বাসা আগ্রাবাদ। জিইসিতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। স্বাভাবিক সময়ে আমি গণপরিবহনে যাতায়াত করি। আজ গাড়ি কম ছিল। অফিসের দেরি হওয়ায় সিএনজি অটোরিকশা নিতে হয়েছে। ১২০ টাকার ভাড়া আজ ২০০ টাকা দিয়েছি।’
আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা মো. আলতাফ বলেন, ‘আমরা এই জলাবদ্ধতা থেকে কবে পরিপূর্ণ রেহাই পাব জানি না। একদিকে হাঁটুসমান পানি, অন্যদিকে ভাঙা রাস্তা। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই জলাবদ্ধতা আমাদের জন্য অভিশাপ। জানি না এই ভোগান্তির শেষ কোথায়।’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাহমুদুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে বুধবার সকাল থেকে পরবর্তী ১২ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।’
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন