নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারতের কলকাতায় হারিয়ে যাওয়া একটি আইফোন চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে নগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা (বন্দর-পশ্চিম) বিভাগ।
সিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ২৪ এপ্রিল কলকাতার মহেশতলা থানা এলাকার জিনজিরা বাজার থেকে হারিয়ে যায় দীপান্বিতা সরকারের ব্যবহৃত আইফোন-১৪ প্লাস। ২৫ এপ্রিল কলকাতা পুলিশের মহেশতলা থানায় একটি জিডি করেন তিনি।
পরবর্তীতে জিডির বাদী ভারত বসেই আইফোনের বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন, তার মোবাইলের বর্তমান লোকেশন বাংলাদেশ। সেই সময় তিনি হন্যে হয়ে খোঁজ করতে থাকেন কীভাবে তার মোবাইলটি উদ্ধার করা যায়।
ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে খুঁজতে থাকেন উপায়। একপর্যায়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেইজে মেসেজ পাঠান। তারপর ঘটনার তদন্তে মাঠে নামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পরবর্তীতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোয়েন্দা বিভাগের (বন্দর-পশ্চিম) এসআই রবিউল ইসলাম হোয়াটসএ্যাপের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করে জিডির একটি সফটকপি হাতে পান। তখন দীপান্বিতা সরকার বিস্তারিত জানিয়ে মোবাইলটি উদ্ধার করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজরে কারো হাতে রয়েছে। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়। মোবাইল হারানোর ঘটনায় যেহেতু কোন মামলা হয়নি, তাই কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উদ্ধার বিলম্ব হওয়ায় আশা ছেড়ে দিলেও অবশেষে গত ৬ জুন চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে উদ্ধার করা হয় ভারত থেকে হারিয়ে যাওয়া দীপান্বিতা সরকারের মোবাইল ফোন। গত ৬ জুলাই ফোনটি চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ভারতে দীপান্বিতা সরকারের নিকট পৌঁছে দেয়। তবে ভারত থেকে হারিয়ে যাওয়া আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল ফোনটি বাংলাদেশে কীভাবে এলো, এ তথ্য উদ্ধারে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রবিউল ইসলাম চাটগাঁ নিউজকে বলেন, মোবাইল ফোনটিতে কোনও সিম প্রবেশ না করানো সত্ত্বেও নানা কৌশলে কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে ভারত থেকে চুরি করা মোবাইল চট্টগ্রামে বিক্রি করে এমন চারজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করি। তারা চোরাই পথে মোবাইল চট্টগ্রামে এনে রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি লেইনে বিভিন্ন খুচরা দোকানদারদের কাছে পৌঁছে দেয় এবং নিজেরাও বিক্রি করে।
তিনি আরও জানান, চোরাই মোবাইল সিন্ডিকেটের হোতাকে টার্গেট করে অভিযান পরিকল্পনা করতে থাকলে সে বিষয়টি বুঝতে পেরে একজন ব্যবসায়ীর মাধ্যমে শনিবার (৬ জুলাই) মোবাইল ফোনটি আমার কাছে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায়। এই সিন্ডিকেট ভারতের সব চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে পাঠায়।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে