ভারতে পালাচ্ছিল সন্ত্রাসী মনা হত্যার আসামিরা, সীমান্তে ধরা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে আলোচিত মো. সাহেদ হোসেন মনা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় অধিপত্য বিস্তারের জেরে মনাকে হত্যা করা হয়েছে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ভারতের সীমান্তবর্তী চৈঠপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার চারজন হলেন- মো. জুয়েল (৩৪), মো. সাগর (২৮), মো. বশির (২৬) ও মো. জুয়েল ওরফে ছোট জুয়েল (২৫)।

গত ৭ জুলাই রাতে কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোড পাখি গলিতে ছুরিকাঘাতে খুন হন সাহেদ হোসেন মনা। খুনের ঘটনায় জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নামে থানায় মামলা করেছিলেন সাহেদের বাবা শাহ আলম।

সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিজেদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৭ জুলাই (রোববার) রাতে সাহেদ হোসেন মনা নামে একজন ছুরিকাঘাতে খুন হন। সাহেদের নামে অস্ত্র, ডাকাতি ও দ্রুত বিচার আইনে ১০টির মতো মামলা আছে।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গ্রেফতার জুয়েলের সঙ্গে সাহেদের মনোমালিন্য হয়। এর জেরেই জুয়েল তার সহযোগীদের নিয়ে সাহেদকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। পরে সাহেদের মৃত্যু হয়।

উপ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর তারা চট্টগ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। সিলেটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

কোতোয়ালি জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) অতনু চক্রবর্তী বলেন, ‘রিয়াজউদ্দিন বাজার ও নিউমার্কেট এলাকায় হকারদের থেকে চাঁদা, ছিনতাই ও মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন খুনের শিকার সাহেদ। ৫০টিরও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা সে ঘটিয়েছে বলেও আমাদের কাছে তথ্য আছে। সেকিশোর গ্যাংও নিয়ন্ত্রণ করতো সে। কোতায়ালি থানা পুলিশের করা সন্ত্রাসীদের তালিকায়ও তার নাম আছে।’

এসি অতনু চক্রবর্তী বলেন, ‘সাহেদের গ্রুপে জুয়েলও কাজ করতেন। পরে সাহেদের সঙ্গে জুয়েলের বিরোধ হলে দুইটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জেরেই জুয়েল তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সাহেদের ওপর হামলা করে। জিজ্ঞাসাবাদে নিজেকে রক্ষা করতেই সাহেদকে ছুরিকাঘাত করে বলে সে আমাদের জানিয়েছে। তারা সেখানে সাহেদকে শায়েস্তা করতে গিয়েছিল।’

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top