চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ভারতের গুজরাট রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বজ্রপাতে ২০ জন নিহত হয়েছেন। রোববার (২৬ নভেম্বর) অসময়ের বৃষ্টিপাতের মধ্যে হওয়া বজ্রপাতে এসব প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনায় সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে ত্রাণ কাজ পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ভারতের স্টেট ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের (এসইওসি) এক কর্মকর্তা জানান, বজ্রপাতে গুজরাটের দাহোদ জেলায় চারজন, ভারুচে তিনজন, তাপিতে দুজন এবং আহমেদাবাদ, আমরেলি, বানাসকাথা, বোটাদ, খেদা, মেহসানা, পঞ্চমহল, সবরকাথা, সুরাট, সুরেন্দ্রনগর ও দেবভূমি দ্বারকায় একজন করে মারা গেছেন।
এসইওসির তথ্যানুসারে, রোববার গুজরাটের ২৫২টি জেলার মধ্যে ২৩৪টিতে বৃষ্টি হয়েছে। সুরাট, সুরেন্দ্রনগর, খেদা, তাপি, ভরুচ ও আমরেলি জেলায় ১৬ ঘণ্টায় ৫০-১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে- যাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়া ছাড়াও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, রাজকোটের কিছু অংশে শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে এসইওসি। ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টিতে কারখানা বন্ধ রাখতে বাধ্য হওয়ায় সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের মরবি জেলার সিরামিক শিল্পও ক্ষতির মুখে পড়েছে।
সোমবার বৃষ্টির তীব্রতা কমবে বলে আশা করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। এদিন কেবল দক্ষিণ গুজরাট ও সৌরাষ্ট্রের কিছু অংশে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান আইএমডির আহমেদাবাদ শাখার পরিচালক মনোরম মোহান্তি।
বিশেষ বুলেটিনে মনোরম মোহান্তি বলেন, উত্তর-পূর্ব আরব সাগরে একটি ঘূর্ণি তৈরি হয়েছে। এতে গুজরাটের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। এর প্রভাবেই গুজরাটে বৃষ্টি হচ্ছে।
বজ্রপাতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, গুজরাটের বিভিন্ন শহরে খারাপ আবহাওয়া ও বজ্রপাতে বহু মানুষের মৃত্যুর খবরে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
‘এই ট্র্যাজেডিতে যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। স্থানীয় প্রশাসন ত্রাণকাজ অব্যাহত রেখেছে।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া