নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনায় ভারতের কাছে এই বিষয়ে জবাবদিহিতা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে অনুষ্ঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের প্রতিবাদ সমাবেশে এই দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ ও সহ সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বক্তব্য দেন।
রাসেল আহমেদ বলেন, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের হাই কমিশনে যে হামলা, ভাংচুর এবং আমাদের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার জন্য এদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে সরকারকে জবাবদিহি চাইতে হবে। জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ভারত সরকারকে বলেছি, যেসব সন্ত্রাসী এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশে তার আধিপত্যবাদ বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত তার আধিপত্যবাদের শেকড় অনেক গভীরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ভারতীয় আধিপত্যবাদ উপড়ে ফেলেছে। আমরা অতীতে সীমান্তে ফেলানী হত্যা, স্বর্ণা দাসকে হত্যা করার ঘটনা দেখেছি। ভারত বিরোধী কথা বলায় আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ নৃশংসভাবে খুন করেছিল। ইসকনের সন্ত্রাসীরা আইনজীবী আলিফকে খুন করেছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা বলেন, এসব ঘটনা আওয়ামী লীগ ও ভারতের যৌথ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঘটানো হয়েছে। তারা আবার নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দেশবাসীর প্রতি আমাদের আহ্বান, আপনারা ঐক্যবদ্ধ হোন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান- সবাই মিলে আমাদের মধ্যে যে সম্প্রীতি আছে, সেটা বজায় রাখতে হবে। আমরা সবাই মিলে এ ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবো।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি







