নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মূলভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।
ভারত আইটি সেক্টরে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশ ভারতের আইটি সহায়তা কাজে লাগিয়ে এ সেক্টরে দক্ষতা আরও বাড়াতে পারে।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সোসাইটি অব চিটাগাং আইটি প্রফেশনালস (এসসিআইটিপি) আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী ৪র্থ চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ারের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, সোসাইটি অব আইটি প্রফেশনালসের মহাসচিব মো. সাইফুল ইসলাম মাহিন ও এ্যারোডেকের ম্যানেজিং কনসালট্যান্ট সুব্রত শাহা বক্তব্য দেন। এ সময় চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞান অর্জনের এখনই উপযুক্ত সময়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চট্টগ্রাম একটি আইটি ইকনোমিক হাবে পরিণত হচ্ছে। বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে হলে স্মার্ট মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হলে আইটি সেক্টরের কোনো বিকল্প নেই।
চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত হবে। এর জন্য জ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। দেশে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চিটাগাং চেম্বার আগামীতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের মেলা আয়োজন করবে।
অনুষ্ঠান শেষে প্লাটিনাম স্পন্সর এফ-ফাইভ, গোল্ড স্পন্সর বেনকিউ, সিলভার স্পন্সর এ্যারোডেক, ভেলোসিটি ও সফোজ, টেকনোলজি পার্টনার লিংথ থ্রি-সহ সব অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে স্মারক দেওয়া হয়।