সিপ্লাস ডেস্ক: লিটন দাস ও তানজিদ তামিম দেখেশুনে খেলার পর বাংলাদেশ যে মোমেন্টাম পেয়েছিল, ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা সেটা ধরে রাখতে পারেনি ম্যাচের বাকি অংশে। এক পর্যায়ে তামিম ও লিটন দুজনই ফেরেন দায়িত্বশীলতার অভাব দেখিয়ে। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টিসুলভ ইনিংসে ২৫৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। তামিমের ৫১ রানের পর লিটন করেন ৬৬। মাঝে মুশফিক ৩৮ রান করে আউট হন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। শেষে রিয়াদ ৪৬ ও নাসুম আহমেদ করেন ১৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয় তো ব্যর্থই।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এদিন শুরুতে দারুণ সাবধানী ব্যাটিং করছিল টাইগাররা। একের পর এক ডট বল দিচ্ছিলেন লিটন। প্রথম রানটা করতেই ১৪ বল খেলেন তিনি। বুমরাহ ও সিরাজের বলগুলো সামলাতে একটু ভুগছিলেনই বাংলাদেশের দুই ওপেনার।
খোলস ছেড়ে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৩ রান করে বাংলাদেশ। এরপর আগ্রাসী হয়ে উঠেন তামিম। ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি আদায় করে নেন। তাও আবার ১২০-এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। শার্দুল ঠাকুরের বলে এক রান নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। যদিও এরপরই আউট হয়েছেন কুলদীপ যাদবের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে। ৪৩ বলে তিনি করেন ৫১ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মার।
লিটনের সঙ্গে তামিমের জুটি হয় ৯৩ রানের। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি। ২৪ বছর আগে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিলো ৬৯। নর্দাম্পটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে যা করেছিলেন মেহরাব অপি ও শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ।
ওয়ানডাউনে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১৭ বলে ৮ করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৩ বলে ৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মোহাম্মদ সিরাজের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তখনও আশার বাতি হয়ে টিকে ছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু রবীন্দ্র জাদেজার বলে উইকেট ছুড়ে দিয়ে দলকে বিপদে ফেলে মাঠ ছাড়েন তিনি।
জাদেজার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে দুর্বল শট খেলেন লিটন। সীমানার অনেকটা আগেই তিনি ধরা পড়েন শুভমান গিলের হাতে। ৮২ বলে ৬৬ রান করেন বাংলাদেশ ওপেনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়েছিলেন তিনি। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ধীরগতিতে এগোতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। হৃদয় খেলছিলেন অত্যন্ত রক্ষণাত্মকভাবে। ৩৫ বলে ১৬ রান করার পর শার্দুল ঠাকুরের বলে বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
মুশফিকুর রহিমকে বলা হয় বাংলাদেশের ভরসার পাত্র। ভারতের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে সেটার প্রমাণও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ৩৮ রান করার পর ড্রেসিংরুমে ফিরেন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে। মুশফিককে ফেরাতে জাসপ্রিত বুমরাহর বলে পয়েন্ট দারুণ ক্যাচ ধরেন জাদেজা। ৪৬ বলে একটি করে চার ও ছয় হাঁকান টাইগার ব্যাটার।