ব্যবসা করেন বছরে শত কোটি টাকার, আর লাভ করেন হাজার কোটি টাকা!
সাইফ পাওয়ারটেক

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু চট্টগ্রাম বন্দর। আর এই বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বা এনসিটি বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর নিয়ে চলছে জোর আলোচনা সমালোচনা। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে জনসাধারণের মাঝে এখন একটাই চিন্তা— কার হাতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর?

যদিও গত ১৭ বছর ধরে এই বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে করে আসছিল সাইফ পাওয়ারটেক। জানা গেছে আগামী ৬ জুলাই সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। যদি এমনটা হয় তবে গত দেড় দশকে বন্দরের একক রাজত্ব হারাতে যাচ্ছে  প্রতিষ্ঠানটি।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনায় আপাতত নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই টার্মিনাল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে টার্মিনাল বুঝে নেওয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর আগে এনসিটি বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন পক্ষ সরব হয়। তবে তাদের দাবির আড়ালে সাইফ পাওয়ারটেককে রক্ষা করতেই এই আন্দোলন চালিয়েছে বলে অভিযোগ অনেকের।

জানা যায়, সাইফ পাওয়ারটেক ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করে বন্দরের যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ কাজের মাধ্যমে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংসহ নানা খাতে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। এই ঘনিষ্ঠতাই ছিল তাঁর প্রধান সম্পদ। এর মাধ্যমে তিনি কেবল বন্দর নয়, দেশের আরও অনেক বড় সরকারি প্রকল্পেও হাত দেন।

তিনি শেখ রেহেনার ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়া শেখ হাসিনার পুত্র জয়ের সাথে ঘনিষ্টতা থাকায় অবাধে চালিয়েছেন লুটপাট এমনটি অভিযোগ সবার মুখে মুখে।

এবার এসব অভিযোগের বিষয়ে মুখ খুলেছেন সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন। কথা বলেছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট সম-সাময়িক বিষয়ে। দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সিপ্লাস টিভির এডিটর ইন চীফ আলমগীর অপুকে।

বিস্তারিত সিপ্লাস টিভিতে……….

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top