চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে এক বসতঘরের পাকা মেঝের নিচে মিলেছে সাপের ২৭টি ডিমের খোসা। গত এক সপ্তাহে এ ঘর থেকে একের পর এক পাওয়া গেছে ১১টি পদ্মগোখরোর বাচ্চা।
উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের হাফেজ আহমেদের বাড়িতে এ সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।
পরিবারের সদস্য শওকত হোসাইন বলেন, গত এক সপ্তাহে অন্তত ১১টি পদ্মগোখরো সাপের ছানা পাওয়া গেছে ঘরে।
এনিয়ে ওঝা বৈদ্য কোনো কিছুই বাদ রাখিনি। তারা মাটি পড়া, বালি পড়া অনেক কিছুই দিয়েছে। শেষতক ঘরের পাকা মেঝে ভেঙেছে। মেঝের নিচ থেকে ২৭টি ডিমের খোসা মিলেছে। এনিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।
ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন বলেন, বড় সাপ সাধারণত ডিম দিয়ে চলে যায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৫০-৭০ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটে নিজ থেকে বের হয়ে যায়।
ওঝা বৈদ্যের বালি পড়া মাটি পড়া ও সাপের হাড় মানসিক প্রশান্তি দিলেও এসব মূলত কাজ করে না। গত সোমবার (৬ অক্টোবর) বাড়িটিতে গিয়ে বড় একটা সাপের খোলস পেয়েছি। মেঝের নিচে ফাঁপা জায়গা রয়েছে। ফলে সাপটিকে রেসকিউ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে খবর পেয়ে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের শেখ পাড়া জফুর মেম্বার বাড়ির হাঁস-মুরগির ঘর থেকে একটি পদ্মগোখরো সাপ উদ্ধার করেন আমির হোসাইন শাওন।
শাওন জানান, বসতঘরের সাথে লাগোয়া ছিলো হাঁস-মুরগির ঘর। সেখানে ৩টি হাঁস ছিলো। সাপটি হাঁসের দুটো ডিম খেয়ে ফেলেছে এবং একটি হাঁস মেরে ফেলেছে। সাপটির বয়স প্রায় ৭-৮ বছর হবে। প্রায় ৬ ফুট লম্বা সাপটি উদ্ধার করে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে। মানুষের আগ্রাসনের ফলে নিরাপদ বাসস্থান হারাচ্ছে সাপ। ফলে যত্রতত্র দেখা মিলছে সাপের।
শাওনের দাবি, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ভণ্ডরা মানুষকে মাটি পড়া, বালি পড়া ও সাপের হাড় দিয়ে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন