বৈষম্য নিরসনে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে স্মারকলিপি দিলেন কর্মচারীরা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনে সারাদেশের বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সকল কর্মচারীরা অনতিবিলম্বে খসড়া নিয়োগবিধি ২০২২ চূড়ান্ত অনুমোদন করাসহ ৮ দফা দাবিতে মহাপরিচালক বরাবর  স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।

আজ রবিবার (২৫ আগষ্ট) এ স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সকল কর্মচারীদের স্বাক্ষর সম্বলিত উক্ত স্মারকলিপিতে প্রত্যেক দপ্তর প্রধানগণ মহাপরিচালক বরাবর দেয়া স্বারকলিপি গ্রহণ  করেন।

স্মারকলিপিতে তারা “বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন ও সংস্কারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে” বলে উল্লেখ করেন। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান রাজস্ব সংগ্রহ করে তা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হয়। দেশের বিভিন্ন সংস্থার মত সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানেও সৈরাচারিতার মাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরি করা হয়েছে। এসকল অনিয়ম দূরীকরণ এবং সেবার মানোন্নয়নে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কিছুটা সংস্কার করা প্রয়োজন বলে কর্মচারীরা মনে করেন । এসময় তারা নিম্নোক্ত ০৮টি দাবি লিখিতভাবে স্মারকলিপিতে উপস্থাপন করে।

০১. অনতিবিলম্বে খসড়া নিয়োগবিধি ২০২২ চূড়ান্ত অনুমোদন করতে হবে।

০২. অত্র অধিদপ্তর হতে ৩১ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত ৪৩১৪ জনের সাংগঠনিক কাঠামো অতি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং ১:৩ আকারে পদ সৃজন করতে হবে।

০৩. বৈদেশিক মিশনগুলোর পাসপোর্ট ও ভিসা উইং এ শতভাগ DIP এর কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদায়ন করতে হবে।

০৪. ফিডার পদ পূর্ণ হলে “সুপার নিউমারারি” পদ্ধতিতে পদোন্নতি দিতে হবে।

০৫. কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য স্টাফ বাস ও বাসস্থানের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৬. দৈনিক ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করলে ওভার টাইম দিতে হবে।

০৭. নিজ জেলা বা পার্শ্ববর্তী জেলায় বদলির ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সরকারী চাকুরীজীবি হলে একই কর্মস্থলে পদায়ন ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য দ্রুত বদলী নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

০৮. ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ গঠনের অনুমোদন দিতে হবে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মচারীরা উপরোল্লিখিত ০১ থেকে ০৫ পর্যন্ত দাবীগুলো ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন ও ০৬ থেকে ০৮ পর্যন্ত ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাবিসমূহ বাস্তবায়িত না হলে তারা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করবে।

জানা যায়, গত ১৩ আগষ্ট ২০২৪ তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরেরর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে মহাপরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং দপ্তরের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীরাই দুর্নীতিগ্রস্থ বলে মন্তব্য করেন। মূলত: কর্মচারীদের ঢালাওভাবে “দুর্নীতিগ্রস্থ” উল্লেখ করায় তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে স্মারকলিপির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

 

Scroll to Top