বৃষ্টি থামতেই জমে উঠেছে আনোয়ারার পশুর হাট

আনোয়ারা প্রতিনিধি: আর কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। এ কোরবানিকে সামনে রেখে টানা বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জমে উঠেছে পশুর বাজার। বৃষ্টিতে ক্রেতা কম থাকলেও রোদ দেখার সাথে সাথে বাজারে আসতে শুরু করেন ক্রেতারা। দামও অনেকটা নিম্নমুখী। যার ফলে ক্রেতারা নিজেদের সাধ্যের মধ্যে নিতে পারছেন পছন্দের কুরবানির পশু তবে বাড়তি খরচে পশু পশু তৈরি করে আশানুরূপ দাম তুলতে না পারায় দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা।

সরেজমিনে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ তৈলারদ্বীপ পশুর হাট, বটতলী রুস্তম হাট, চাতরী চৌমুহনী বাজার, ছত্তার হাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে স্থানীয় খামারী ও বিভিন্ন জেলার বেপারীরা নিয়ে আসে গরু। তার মধ্যে বারো লাখ টাকা দামের গরু ছাড়াও বিভিন্ন সাইজের কুরবানির পশু উঠেছে। কুরবানিদের চাহিদা অনুযায়ী গরু ওঠায় বিক্রিও হচ্ছে বেশি। টানা বৃষ্টিতে গত কয়েকদিন বাজার থমকে থাকলেও গতকাল ও আজকে বৃষ্টির ফাঁকে জমে উঠেছে বাজারগুলো। বাজারে একদিকে যেমন পর্যাপ্ত গরু ছিলো তেমনি ছিলো ক্রেতাও। গরুর সাথে সমানতালে মহিষ ছাগলও বিক্রি হতে দেখা যায়।

মোঃ হাসান নামের এক বিক্রেতা জানান, বাজারে ক্রেতার ভিড় রয়েছে। গরুও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। তবে ক্রেতারা দাম দিচ্ছে কম। গরু লালনপালনে খরচের সাথে গরু বিক্রির দাম না থাকায় গরু বিক্রি করা হয়নি। তবে শেষ বাজারে দাম বৃদ্ধি হওয়ার আশা রয়েছে।

আবদুর রহিম নামের এক ক্রেতা জানান, বৃষ্টির কারণে বাজারে আসতে পারিনি। বৃষ্টি কমাতে বাজারে এসেছি। পর্যাপ্ত গরু এসেছে। দামও সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। এবার গরু মহিষের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। কুরবানির সময় ঘনিয়ে আসাতে ও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকাতে যে যেটা ধরেছে সেটা কিনে নিচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী পেলে কিনে নিব।

হাটের কেনাবেচা নিয়ে তৈলারদ্বীপ সরকার হাটের ইজারাদার ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাজার তেমন জমেনি। বৃষ্টি কমাতে ও কুরবানির সময় ঘনিয়ে আসাতে হাটে পর্যাপ্ত গরু এসেছে, ক্রেতা এসেছে বেশি। আলহামদুলিলাহ বিক্রিও জমে উঠেছে। সবধরনের সুযোগ সুবিধা থাকায় স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা হাটে আসছেন। এখানে কুরবানির মধ্যরাত পর্যন্ত গরু বেচাকেনা হবে।

চাতরী চৌমুহনী পশু বাজারের ইজারাদার মোশাররফ হোসেন সোহেল জানান, বাজারে স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে বড় মাঝারি ছোট গরু এসেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা এসেছে। বেচাকেনা হয়েছে বেশ। দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকায় খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা।

আনোয়ারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া বলেন, প্রতিটি হাটে আমাদের মেডিকেল টিমের ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যাম্প থেকে কুরবানির পশুর সবধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এমকেএন

Scroll to Top