চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পরে বিসিবি বোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার গুঞ্জন উঠলেও অবশেষে সমস্ত জল্পনা কল্পনা ছাপিয়ে বিসিবি’র সভাপতি হিসেবে থাকছেন নাজমুল হাসান পাপন। অন্তত ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিনি থেকে যাচ্ছেন বিসিবি’র কাণ্ডারি হয়ে।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিসিবি’র বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৫ অক্টোবর। এরপর হবে নতুন নির্বাচন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত বোর্ড পরিচালকদের মধ্য থেকে নতুন সভাপতি নির্বাচন করবেন, এটাই আছে বিসিবির গঠনতন্ত্রে। তার আগ পর্যন্ত নাজমুল হাসানই বহাল থাকবেন বিসিবি’র সভাপতি পদে।
বিসিবির পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, “বোর্ড সভাপতি হিসেবে আমরা চাই তিনি তাঁর বর্তমান মেয়াদ শেষ করুক। দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে বর্তমান বোর্ড যেসব পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য হলেও তাঁকে বোর্ডে দরকার”।
বিসিবির সাবেক পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন জানান, “যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হলেও যদি তিনি বিসিবি সভাপতি থাকা অবস্থায় অন্য খেলার উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখেন, তাহলে দুটো দায়িত্ব এক সঙ্গে পালনে আমি কোনো সমস্যা দেখি না”।
তবে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হলে শুধু সভাপতি পদে নয়, বিসিবির পুরো পরিচালনা পর্ষদেই আসতে পারে আমূল পরিবর্তন। নাজমুল হাসানের সঙ্গে তখন বিদায় নিতে পারেন অনেক বছর ধরে দেশের ক্রিকেট প্রশাসনে সম্পৃক্ত থাকা জ্যেষ্ঠ পরিচালকরা।
নাজমুল হাসান বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আগে এবং সরকারের মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন পরে। মন্ত্রী হওয়ার পরও তাঁর বোর্ড সভাপতি থাকায় আইসিসি থেকেও তাই কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বিসিবির পরিচালকদের তাই সর্বসম্মত অলিখিত সিদ্ধান্ত “বোর্ড সভাপতি হিসেবে চলতি মেয়াদ পর্যন্ত তাঁরা নাজমুল হাসানকেই ধরে রাখবেন”।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন