রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতুমং মারমা হত্যা মামলার ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার চারজনের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ তিনজন স্থানীয় ইউপি সদস্য রয়েছেন।
রবিবার (২ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকা তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ৪ আসামি হলেন- বড়থলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সত্য চন্দ্র ত্রিপুরা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওয়াইভার ত্রিপুরা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাধু চন্দ্র ত্রিপুরা ও আওয়ামী লীগের সদস্য সুজন ত্রিপুরা।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বিপিএম (বার) গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার মধ্যরাতে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের আবাসিক হোটেল শুকতারা বোর্ডিংয়ে অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হত্যা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে বিভিন্নভাবে কাজ করছে পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় আসামিদের কয়েকজন রাঙামাটি শহরে অবস্থান করছে এমন খবর ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আমি ও কোতয়ালী থানা পুলিশ ও ওসি ডিবির নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন হোটেলে অভিযান পরিচালনা করি। সোমবার ভোররাতে রিজার্ভ বাজারের শুকতারা আবাসিক হোটেল থেকে এজাহারনামীয় চার আসামিকে গ্রেফতার করি। পরে বিলাইছড়ি থানার মাধ্যমে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নের বড়থলি মারমা পাড়ায় চেয়ারম্যান আতুমং মারমা তাঁর চাচার বাড়িতে বেড়াতে যান। ওই রাতে সন্ত্রাসিরা তাঁকে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। পরে বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। প্রথমে তাকে বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩১ মে রাতে ১১টার পর তিনি মারা যান। পরের দিন বিলাইছড়ি থানায় আতুমং মারমার বড় ভাই ক্যচিং মং মারমা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/এসএ