বির্জা খাল পরিস্কার কাজে সন্তুষ্ট নন মেয়র, ফের নামছে চসিকের টিম

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : নগরীর বির্জা খালের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের কাজে সন্তুষ্ট নন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চসিকের অনুমতি নিয়ে খালটি পরিস্কারের কাজ শুরু করেছিল জামায়াতে ইসলামী। কিন্তু পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র দেখতে পান, খালের অনেক জায়গা এখনো ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ। এ অবস্থায় মেয়র চসিকের টিমকে আবারও সেই খালটিতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার (২ জুন) দুপুরে নগরীর বাকলিয়ায় বির্জা খাল পরিদর্শনে যান সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন।

এর আগে তিনি নগরীর মিয়াখান নগর, দামপাড়া, ওয়াসা মোড়, জিসি মোড়, কাপাসগোলা, আগ্রাবাদ এলাকায় গিয়ে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন।

জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৯ এপ্রিল ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ নগরীর বাকলিয়ায় বির্জা খাল পরিস্কারের কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী। চসিক মেয়র শাহাদাত হোসেন এ কার্যক্রমের ‍উদ্বোধন করেছিলেন। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এক কোটি টাকা ব্যয়ে তারা খালটি পরিস্কার করে দিচ্ছে।

সম্প্রতি খালটি পুরোপুরি পরিস্কার করা হয়েছে বলে জামায়াতের পক্ষ থেকে চসিককে জানানো হয়। এরপর সোমবার চসিক মেয়র বির্জা খাল পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র মেয়র বাকলিয়ার বিভিন্নস্থানে বির্জা খালে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকতে দেখেন। এসময় মেয়র সাংবাদিকদের শাহাদাত হোসেন এসময় বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে ৫৭টা খাল আছে। বির্জা খাল এর মধ্যে একটা খাল। জামায়াতে ইসলাম এটা আমাদের কাছে পরিস্কারের জন্য চেয়েছিল, আমরা দিয়েছি। আমরা মনে করেছিলাম, যে পরিমাণে খালটাকে ক্লিন করা হবে, আজ এসে দেখতে পাচ্ছি প্রচুর পরিমাণে ময়লা এখানে পড়ে আছে। এখন আমাদের আবারও সেটা ক্লিন করতে হবে। সিটি করপোরেশনের স্পেশাল টিম আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে আবারও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করবে।’

কোটি টাকা খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই খালটা ক্লিন করার জন্য সিটি করপোরেশন বাজেট নির্ধারণ করেছিল সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। তাদের ৫০ লাখ টাকার বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়।’

চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টির পরও নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা না হওয়া একটি বড় সাফল্য উল্লেখ করে  সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এ সাফল্যের পেছনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে কাজ চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু খাল নালায় জলপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।’

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

 

Scroll to Top