রাউজান প্রতিনিধি: বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তিন সন্তানের জনকের বিরুদ্ধে তরুণীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ ওঠেছে। ফটিকছড়ি উপজেলার আজাদী বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ ঘটনায় ফটিকছড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তরুণীর বড় ভাই।
এর আগে সোমবার বেলা ১টার দিকে আজাদী বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাহত তরুণী সেলিনা আক্তার (২২) রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী বাড়ির আরাফর রহমানের মেয়ে।
অভিযুক্ত যুবক একই উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানপাড়ার রশিদ খানের বাড়ির মনজুরুল আলমের ছেলে মো. হোসাইন আলী (৩৪)।
ভুক্তভোগী তরুণী সেলিনা আক্তার জানান, সোমবার দুপুর ১টার দিকে তার মা ও ভাগনিসহ মাইজভান্ডার দরবার শরীফ যাওয়ার পথে আজাদী বাজার গেলে কিছু বুঝে উঠার আগে ছুরিকাঘাত করে হোসাইন আলী পালিয়ে যায়। পরে তাকে আহত অবস্থায় পাশের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, হোসাইন আলী মাকে মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করত। গত ১৫ দিন আগে আমির হাটে বাজার করতে গেলে আমাকে জোর করে শহরে নিয়ে যান তিনি। সেখান হতে আমি পালিয়ে আসি। আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় ছুরিকাঘাত করেছে।
তরুণীর বড় ভাই গোলাফুর রহমান বলেন, আমার বোনের মোবাইলে রবিবার ১২টা থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত হোসাইন ৪১ বার কল দিয়েছে। এর আগে গত ১৪ হতে ১৭ ফেব্রুয়ারি মোবাইলে টানা যোগাযোগ করে। ঘটনার দিন কল রিসিভ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সে আঘাত করেছে। ঘটনাস্থল ফটিকছড়ি হওয়ার রাউজান থানায় অভিযোগ গ্রহণ না করায় পরে ফটিকছড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।
তরুণীর মা লায়লা বেগম বলেন, আমি মেয়ের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমার মেয়ের নিরাপত্তা চাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা খতিয়ে দেখছি।
তবে অভিযুক্ত মো. হোসাইন আলীকে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায় নি। পরে তার বাড়ি গেলে একটা ঝুপড়ি ঘর থেকে দেড় বছরের পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে বের হন তার স্ত্রী নুর খাতুন। তিনি জানান, হোসাইন আলী পেশায় একজন দর্জি। আমিরহাটের একটি টেইলার্সে মজুরির বিনিময়ে কাজ করেন। মাস তিনেক আগে বাড়িতে এসেছিলেন। প্রায় ৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে ৭ ও ৬ বছর বয়সের দুই কন্যা সন্তান ও দেড় বছর বয়সের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। হোসাইন আলী তাদের কোন ভরণ-পোষন দেন না। বাড়ি এলে প্রায় তাকে মারধর করেন বলে জানান তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ