চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছেই নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচির তৃতীয় দিনের সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণ আমাদের কাছে কথার ফুলঝুরি পছন্দ করে না। জনগণ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে, কীভাবে আমরা দেশকে পরিচালনা করব, তাদের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করব। পুরো পরিকল্পনা জনগণ আমাদের কাছে দেখতে চায়। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ডিটেইল প্ল্যানিং শুধু বিএনপির আছে, আর কোনো দলের নয়।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিএনপির কাছেই নিরাপদ। দেশ এবং জনগণকে পক্ষে নিতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন দেখা দেবে। বিভাজন ও বিভক্তি রেখে দেশ গড়া সম্ভব নয়।
অনেকেই নানা বক্তব্য দিলেও ক্ষমতায় গেলে দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, সে বিষয়ে বিএনপির মতো বিস্তারিত কেউ তুলে ধরেনি বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে চার কোটি পরিবারকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়া হবে এবং রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।
আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, আইনের মাধ্যমেই বিচার করা হবে।
দুর্নীতি দমনে বিএনপি বড় ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সরকার গঠনে সক্ষম হলে স্বাবলম্বী মা ও স্বাবলম্বী পরিবার গড়ে তোলার লক্ষ্য থাকবে বলে জানান।
শিক্ষা বিষয়ে তিনি জানান, স্কুল পর্যায়ে একাধিক ভাষা বাধ্যতামূলক করা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী ভাষা নির্বাচন করতে পারবে। ইংরেজির পাশাপাশি আরও একটি ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
তরুণদের বিষয়ে তিনি বলেন, ভোকেশনাল শিক্ষার কিছু বিষয়ও বাধ্যতামূলক করা হবে। এভাবে একজন শিশুকে ছোট বয়স থেকে স্বাধীন ও সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে। আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন চালু করার। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভাষা শিক্ষা দেওয়া হবে।
ধর্মীয় অবকাঠামো ও সমাজকল্যাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৩ লাখের মতো মসজিদ আছে। মসজিদগুলোতে যে ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবরা আছেন, তাদের সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন






