চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙ্গর করা এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এমভি জাহান মনি-৩ নামে লাইটার জাহাজে করে তারা রওনা দেন।
বিকেল ৪টার দিকে নাবিকদের নিয়ে লাইটার জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)-১ পৌছবে। সেখানে নাবিক পরিবারের স্বজন এবং জাহাজ মালিক পক্ষ তাদের বরণ করে নিবে।
সোমালিয়ার দস্যুদের থেকে মুক্ত হওয়া ছেলে আইনুল হক অভির মা লুৎফা আরা বেগমের যেন আর অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না। কখন ছেলে বাসায় আসবে, কখন বুকে জড়িয়ে ধরবেন, সেই সময় গুনছেন তিনি। দস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাস পর আজ সন্তানের সঙ্গে দেখা হবে মায়ের।
লুৎফা আরা বেগম বলেন, ছেলেকে কখন বুকে জুড়িয়ে নেব, সেই অপেক্ষায় আছি। তাকে ফিরে পাচ্ছি, এটিই সবচেয়ে বড় পাওয়া। ছেলের প্রিয় খাবার শুঁটকি ভর্তা ও চিংড়ি মাছ রান্না করব।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ২৩ ৬টায় নাবিকসহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছে এমভি আব্দুল্লাহ। জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টায় লাইটার জাহাজে করে চট্টগ্রাম থেকে আসা আরো ২৩ নাবিককে ‘এমভি আব্দুল্লাহর’ দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে জিম্মিদশা থেকে আসা ২৩ নাবিক।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে লাইটার জাহাজ ‘জাহান মনি-৩ ‘ এ করে মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিক চট্টগ্রামে ফিরছেন। জাহাজটি পৌঁছাবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)-১ এ। সেখানে নাবিকদের বরণ করে নিতে তাদের স্বজনরা অপেক্ষা করছে।
জাহাজটিতে ৫৬ হাজার মেট্রিকটন চুনাপাথর রয়েছে। সেসব পণ্য খালাস করতে দুই দিন লাগতে পারে বলে জানা গেছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে ।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যু। পরে ১ মাস জিম্মি থাকার পর মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ এপ্রিল ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি মুক্তি পায়। এরপর জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস