চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ খেলোয়াড় জালিয়াতির অভিযোগে বাফুফের ডিসিপ্লিনির কমিটি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। বাফুফের আপিল কমিটি আবেদন পর্যালোচনা করে বিকেএসপি’র শাস্তি প্রত্যাহার করেছে।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরির সভাপতিত্বে আপিল কমিটি বিকেএসপির নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আর্থিক জরিমানাও মওকুফ করেছে। বিকেএসপির দুই কোচকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছিল ফেডারেশন। আপিল কমিটি শাস্তি পর্যালোচনা করে সিনিয়র শাহেনুরকে মাফ করলেও রবিউল ইসলামের শাস্তি বহাল রেখেছে।
বিকেএসপি বাফুফের আপিল কমিটির সিদ্ধান্তের চিঠি পেয়েছে। বাফুফের আপিল কমিটির সিদ্ধান্তে বেশ সন্তুষ্ট প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক। আমরা সুস্পষ্টভাবে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছিলাম। প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকেএসপি কোনো অন্যায়-অনিয়ম করেনি। আপিল কমিটি আমাদের আবেদনটি গুরুত্ব সহকারে দেখেছে। তাদের সিদ্ধান্তকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। এর মাধ্যমে প্রকৃত সত্যের জয় হলো।
বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। আপিল কমিটির এই সিদ্ধান্তের পর ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত আবার প্রশ্নের মুখে পড়ল। যদিও ডিসিপ্লিনারি কমিটি বিকেএসপি’র পয়েন্ট কর্তন, আরো কয়েকটি বিষয়ে শাস্তি বহাল রেখেছে আপিল কমিটি।
অদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিকেএসপি আভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করছে। সেই তদন্ত নিয়ে বিকেএসপির মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের অবস্থান সুস্পষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকেএসপির কোনো দায় নেই। ব্যক্তিগতভাবে ব্যক্তি জড়িত। তার ব্যাপারে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।’
তৃতীয় বিভাগ ফুটবলে বিকেএসপির ফুটবলাররা চকবাজার কিংসের হয়ে খেলেন। এ নিয়ে বিকেএসপির সঙ্গে চকবাজারের চুক্তি হয়। সেই চুক্তিকৃত ফুটবলার অন্য নামে দ্বিতীয় বিভাগ খেলতে গেলেই বিপত্তি ঘটে।