বিনোদন ডেস্ক: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জুলুমের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খল অভিনেত্রী রিনা খান। তার বড় ছেলে থাকেন জার্মানিতে।
সেই বিদেশে থাকা ছেলের নামে আওয়ামী লীগের লোকজন নাকি মামলা করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ওয়ারেন্টও বের হয়েছে।
অভিনেত্রী সেই ‘মিথ্যা’ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিএনপি অফিসে এসেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ছোট ছেলেকে নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়েছিল; কোনো কাজ করতে পারতেন না, বিটিভিতেও তাকে ডাকা হতো না বলে জানালেন দেশীয় চলচ্চিত্রের এই পরিচিত মুখ। আর এ নেপথ্যের কারণ তিনি বিএনপি করেন। এমনটাই জানিয়ে বললেন জিসাস (জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভানেত্রী।
রিনা খান বলেন, আমি জিসাস (জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভানেত্রী। আমি বিএনপি করি বলেই আজকে আমার এই অবস্থা। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের উৎখাত চেয়েছি, পেয়েছি। ভবিষ্যতে আমরা আর কোনো দিন আমাদের ওপরে, কারো ওপরে জুলুম করতে না পারে, আমরা সেটাই কামনা করি।
আজকে আমি খুবই খুশি। খুশিতে আমার কান্না চলে আসছে।
নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে রিনা খান বলেন, আমি একটি নির্যাতিত সন্তানের মা, আমি অভিনেত্রী সেলিনা সুলতানা রিনা খান। আমি বিএনপি করি বিধায় আমার ছেলে ২০০৯ সালে জার্মান গেছে, তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছে।
আমার ছোট ছেলের পেছনেও পুলিশ লেগে ছিল আমি ঘরেই থাকতে পারতাম না। আমি কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারতাম না, বিটিভির কোনো অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকা হতো না। এই ফ্যাসিস্ট সরকার যাওয়ার পরে আমরা নতুন করে জীবন পেলাম।
মামলা থেকে মুক্তির আবেদন জানিয়ে রিনা খান বলেন, আমি আমার মামলাটা নিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসে এসেছি। আমাদের সালাহউদ্দিন সাহেব আছেন, উনি আমাদের মুরব্বি, আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। যারা বিএনপির রয়েছে তারা সবাই আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। আজকে আমি একটা অ্যাপ্লিকেশন করলাম আমার ছেলের নামে মামলাটা তুলে নেওয়ার জন্য। আমি অনেক কাজ রেখে সকাল থেকে এসে এখানে শুরু করেছি। স্যার আমাকে অনেক সময় দিয়েছেন।
রিনা খানের আসল নাম সেলিমা সুলতানা। ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সোহাগ মিলন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিষেক ঘটে। তিনি মূলত খলচরিত্রে অভিনয় করলেও তাকে পজিটিভ চরিত্রেও দেখা গেছে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন