সিপ্লাস ডেস্ক: বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিকে ঘিরে নগর জুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। হঠাৎ করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।
বুধবার (১৪ জুন) দুপুর থেকে বিএনপির সমাবেশ আয়োজনের সময় থাকলেও সকাল থেকে নেতাকর্মীরা আসতে থাকে সমাবেশ স্থলে।
নগরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগরে কাজীর দেউড়ি এলাকায় সমাবেশ হওয়ায় চকবাজার থেকে কাজীর দেউড়ি হয়ে আগ্রাবাদ ও ওয়াসা থেকে কাজীর দেউড়ি হয়ে নিউ মার্কেট রুটে চলাচলকারী যানবাহন সমূহ বন্ধ হয়ে যায়।
এতে ভোগান্তিতে পড়ে এই রুটে চলাচল করা যাত্রীরা। গন্তব্যে যেতে অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসে থাকলেও অনেকে আবার পায়ে হেঁটে রওনা দেন। সমাবেশ কেন্দ্রীক বিএনপি নেতা-কর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় নেতা-কর্মীরা আসে পাশের সড়কগুলোতে অবস্থান নেয়।
এদিকে, সমাবেশ এলাকার আশে পাশে ছেঁয়ে গেছে ব্যানার পোস্টারে। ব্যানারে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং অন্যান্য দাবি তুলে ধরেছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন রঙের ক্যাপ এবং টি-শার্ট পরে সমাবেশস্থলে আসছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা।
মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ গণমাধ্যমকে জানান, আমরা এ সমাবেশের মাধ্যমে তত্বাবধায়ক সরকারের বাদি আরও জোরালো করছি। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে তিনি বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেবেন।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে কোনো নাশকতা এড়াতে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপি দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার নোবেল চাকমা গণমাধ্যমকে জানান, সমাবেশে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা ও নাশকতা এড়াতে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কেউ কোনো ধরণের নাশকতা করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ এ স্লোগানে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ী এলাকায় ‘তারুণ্যের সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থল কাজীর দেউড়ি মোড় যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে জড়ো হতে শুরু করেছেন। সমাবেশ স্থলে মঞ্চে আছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানীসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত আছেন।