চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে মধ্যরাতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বাকলিয়া এলাকা। সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময় ঘটনায় প্রাণ গেছে এক ছাত্রদল কর্মীর, আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৮ জন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকায় চসিক মেয়রের ছবি দিয়ে টাঙানো ব্যানারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে মো. সাজ্জাদ (২৬) নামের এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান।
তিনি বলেন, মো. সাজ্জাদ (২৬) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার বুকে গুলির আঘাত রয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের ছবি দিয়ে টাঙানো একটি ব্যানার সরানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এর একটি পক্ষ মেয়রের অনুসারী হিসেবে পরিচিত যুবদল নেতা বাদশার নেতৃত্বে ছিল। অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিল বিএনপি নেতা মীর হেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন-বোরহান গ্রুপ। এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আগে থেকেই ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিএম সালাউদ্দিন আসাদ বলেন, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার পোস্টার ঝুলিয়েছিল। মেয়রের লোকেরা তা খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা ব্যানার খুলতে যায়। তখন তাদের তুলে নিয়ে মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। এতে সাজ্জাদ মারা যায়।
যুবদল নেতা এমদাদুল বাদশা বলেন, অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তারা এত অস্ত্র কোথা থেকে পেয়েছে? তাদের অস্ত্র উদ্ধার করা হোক। গুলি করার আগে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। তারা বিএনপির কেউ নয়; আগে যুবলীগ করত। ৫ আগস্টের পর যুবদলের নাম ব্যবহার করে নানা অপকর্ম করছে। এখানকার মীর হেলাল গ্রুপের কেউ ছিল না, সব মিথ্যা কথা। নিহত সাজ্জাদ ছাত্রদলের কর্মী ছিল।
তিনি আরও বলেন, সোহান, বোরহান, হীরণ, ডাকাত বাদশা— এরা গুলি করেছে। তারা মাদকাসক্ত। এটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। যারা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। ওসি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, রাতের মধ্যেই আসামিদের গ্রেফতার করবে বলেছেন।
নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, আমার ছেলেকে তার বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গেছে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি চাই আমার ছেলে হত্যার বিচার।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ






