চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে চলছে মামলা বাণিজ্য, মামলায় বাদ পড়েনি দু:সময়ের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বিএনপিকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশে বিদেশে এটা কি তারই একটা অংশ- এমন অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তিনি লিখিত একটি বিবৃতি পাঠিয়েছেন গণমাধ্যমে।
সেখানে তিনি বলেন, চট্টগ্রামে চলছে মামলা বাণিজ্য সিন্ডিকেটদের অনৈতিক ও অর্থনৈতিক জয়জয়কার, মামলাতে উপরের সারিতে বেশকিছু আওয়ামী লীগের নেতাদের নাম দিয়ে তাদের পিছনে সারাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, আমলা, শিক্ষক ডাক্তার পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। মামলায় নাম দিবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা এমন কী টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ পর্যন্ত।
মামলায় বাদ পড়েনি দু:সময়ের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পর্যন্ত। ফুলেফেঁপে উঠেছে কয়েকজন আইনজীবীসহ মামলা বাণিজ্য চক্রের সদস্যরা। জাতিসংঘসহ সারাবিশ্বের কাছে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে সূদুরপ্রসারী গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা ও চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ও প্রভাবশালী সাবেক এক মন্ত্রীর পরামর্শে উনার আত্মীয় চট্টগ্রামের একজন পরিচিত আইনজীবী নেতার মাধ্যমে এই গভীর ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে। শুধু তাই নয়, ৫ আগস্টের পর থেকে সাবেক ওই মন্ত্রী পরিবারের রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন বালু মহালসহ বিভিন্ন ব্যবসার পরিচালনা ও দেখভাল করছেন সেই আইনজীবী নেতা।
একদিকে যাকে মামলা দিচ্ছে, অন্যদিকে তার পরিবারের ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। সিনেমাকে ও হার মানাবে এই গুপ্ত কাহিনি! পাশাপাশি অনেক মামলার বাদী নিজেই জানে না সে মামলা করেছে কার নামে। মাত্র ২ হাজার টাকা দিয়ে বাদী থেকে ভোটার আইডি নিয়ে চিকিৎসার জন্য সহায়তা করবে বলে সাইন করিয়েছে কাগজে। এই মামলা দায়েরসহ মামলা পরিচালনার সহযোগিতা কারা করছেন সেটা প্রতিটি মামলার উপরে অ্যাডভোকেটের নাম দেখলেই বুঝতে পারবেন মামলার বাদী চক্রের মধ্যে একজন অপকর্মের কারণে বহিস্কৃত, অন্যরা যুবলীগ ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী। যারা মামলার সাক্ষী তারাও যুবলীগ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় (ডকুমেন্টসসহ রয়েছে)। আরও রহস্যের ব্যাপার হলো, মামলা বাণিজ্য চক্রের বাদীদের মামলাগুলো যিনি পরিচালনা করছেন তিনি চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক ছাত্রশিবির নেতা। যার বাড়ি নোয়াখালী।
শুধু তাই নয়, দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় মামলা বাণিজ্য চক্রের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আমি সোচ্চার থাকায় এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের নির্দেশে অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পর থেকে আমার বাবাকে পর্যন্ত ৪টি মামলার আসামি করা হয়েছে। আমার বাবা-মা দুজনই দীর্ঘবছর ধরে আমেরিকায় বসবাস করেন স্থায়ীভাবে। আমাকেও মামলা চক্রটির মূলহোতা ও সহযোগীরা হুমকি দিচ্ছে। ৫ লাখ টাকা দিলে নাকি আমার বাবার নাম মামলা থেকে বাদ দিবে।
বিএনপিকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে দেশে বিদেশে এটা কী তারই একটা অংশ? বিএনপিকে দেশে বিদেশে ও বিভিন্ন দূতাবাসে বিতর্কিত করার জন্যই কী আওয়ামী লীগের এজেন্সি হিসেবে এ হাস্যকর মামলা চক্র কাজ করে যাচ্ছে? যাতে বিগত ১৭ বছরের আওয়ামী লীগের অসংখ্য প্রকৃত অপরাধ ও অসংখ্য প্রকৃত হত্যাকাণ্ড গুম খুন জুলুম নির্যাতনের ঘটনাগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়।
বিবৃতিতে সকল বিষয়ে তথ্য প্রমাণসহ আরো বিস্তারিত জানানো হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এআইকে