সিপ্লাস ডেস্ক: নগরীর বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকায় সিটি সার্ভিস বাসে যাত্রীর মোবাইল ছিনতাইয়ের জড়িত থাকার অভিযোগে বাসের চালক-হেলপার সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, বাসের চালক মো. মফিজ (২৯), হেলপার মো. মাহাদুল করিম (২০), হেলপার মো. রাকিব প্রকাশ মেহেদী (১৯) ও কন্ট্রাক্টর মো. সাইদুল ইসলাম জিসান (১৯)।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লোকাল বাসের ছিনতাইয়ের সঙ্গে বাস চালক ও হেলপার জড়িত থাকে।
কোনো চক্র বমি করে ছিনতাই করে। আবার কোনটি বাসের ভিড়ের মধ্যে মোবাইল ও মানি ব্যাগ ছিনতাই করে। কাজ শেষ হলে বাসচালক ছিনতাইকারীদের নির্দিষ্ট স্থানে নামিয়ে দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (৫ আগস্ট) ষোলশহর ২ নম্বর গেইট থেকে মামুন নামে এক কিশোর নগরের বন্দর ২ নম্বর মাইলের মাথা বোনের বাসা যাওয়ার জন্য দশ নম্বর বাসে উঠেছিল। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ২ নম্বর মাইলের মাথা পৌঁছালেই বাস থেকে কয়েকবার নামতে চাইলেও আসামিরা বাসে অন্যান্য যাত্রীর সঙ্গে নগরের কাঠগড় নিয়ে যায়। নগরের কাঠগড়ে যাওয়ার পর গাড়িতে থাকা সকল যাত্রীরা নামিয়ে দেওয়ার পর কিশোর মামুনকে নিয়ে পুনরায় বাসটি নগরের ইপিজেড মুখি আসতে থাকে। ইপিজেড মোড়ে ৭ থেকে ৮ জন মহিলা যাত্রীকে নিয়ে বাসটি মাইলের মাথার দিকে আসতে থাকে। নগরের ২ নম্বর মাইলের মাথা কমিশনার গলির সামনে পৌঁছালে রাত সাড়ে আটটার দিকে মামুনকে বাসের হেলপার ভয়ভীতি প্রদান করে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে বাস থেকে ধাক্কা মেরে নামিয়ে দেয়। এ সময় হেলপার মো. মাহাদুল করিম ছিনতাই করা মোবাইল সেটটি আরেক হেলপার মো. রাকিবকে দিয়ে কৌশলে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। এ সময় চালক মো. মফিজ বাসটি সামনের দিকে চালানোর চেষ্টা করলে বাসে থাকা যাত্রীরা কিশোরের চিৎকারে পথচারী সহায়তায় বাসটি আটক করে। এ সময় বাসের চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়।
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কিশোর মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতার বাস চালক ও হেলপারের তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইকৃত মোবাইল সেটটি ঘটনার সময়ে বাসে থাকা মো. রাকিবকে দিয়ে দেন বলে আমাদের জানায়। ঐ তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে নগরের পুরাতন চান্দগাঁও পাঠাইন্যা গোদা চাঁন্দগাও হোটেলের সামনে মো.রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় রাকিবের দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে ছিনতাই করা মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ঐ কিশোরের দুলাভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।