রাউজান প্রতিনিধি: যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর শিক্ষার্থী আহত হওয়ার প্রতিবাদে এবি ট্রাভেলস নামক একটি পরিবহন সংস্থার ৪টি বাস ৮ ঘন্টা ধরে আটকে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের চুয়েট গেইট সম্মুখ হতে এই বাসগুলো আটক করে যাত্রীদের নামিয়ে গেইটের ভেতরে ঢুকিয়ে নেন। তবে, বাসগুলো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। পরে চুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর রেজাউল করিম ও রাউজান থানা পুলিশের সমন্বয়ে চুয়েট শিক্ষার্থী ও মালিক পক্ষের দীর্ঘ বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেওয়ার পর বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, আহত শিক্ষার্থীর নাম মো. আইমান। তিনি সিএসসি ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এবি ট্রাভেলসের ধাক্কায় তার থুতনির নিচে কেটে গেছে। ৪ টি সেলাই হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান করছে।
চুয়েট ফাঁড়ির ইনচার্জ এস. আই শেখ জাবেদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ৯ টার দিকে শান্তির হাট এলাকায় এবি ট্রাভেলসের একটি বাস ওভারটেক করতে গিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েট শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দেয়। এতে এক শিক্ষার্থী বেশ আহত হয়। এই ঘটনায় সকালল শিক্ষার্থীরা ৪টি বাস আটক করেন। তিনি আরো জানান, শিক্ষার্থীদের দাবি বেপরোয়া গতিতে বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে।
চুয়েটের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয় হোসেন বলেন,গত ডিসেম্বরে ১৮ ব্যাচের একছাত্রীকে রাস্তার পাশে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ধাক্কা দিয়ে আহত করেছিল। তখন বাস মালিক পক্ষ কিছু ক্ষতিপূরণ দিয়েছিল। তখন আমাদের দাবি ছিল দ্রুতগতিতে বেপরোয়াভাবে বাস চলাচল করতে পারবে না, কোন ওভারটেক করতে পারবে না। সেই দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় পুনরায় তারা মোটরসাইকেল আরোহী চুয়েট শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দেয়। এবারও তারা কিছু টাকা দিয়ে ছাড় পেতে চায়। আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে এই বাসগুলো রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না।
চুয়েটের চাকরিজীবি মাসুদ হোসেন রুবেল বলেন, এবি ট্রাভেলসের বাসগুলো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের জন্য এক আতঙ্কের নাম। তাদের বেপরোয়া গতির কারণে অন্যন্য পরিবহনের যাত্রী সদা আতঙ্কে থাকেন। এগুলোকে বাস নয় নয়, দানব মনে হয়।
এই বিষয়ে জানতে চুয়েট ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম বলেন, বাস মালিক পক্ষ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছেন। এছাড়াও মালিকপক্ষ আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা খরচ ও মোটরসাইকেল মেরামত খরচ প্রদান করেন। আলোচনা শেষে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর