আনোয়ারা প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বিয়ের ৯ দিন পর বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিরুদ্দেশ মোছাম্মৎ মেহেরুন্নেছা (২৫) নামে এক নববধূ।
গত ১০ নভেম্বর উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ১ নভেম্বর উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের কান্তিরহাট এলাকার আবু তৈয়বের মেয়ে মেহেরুন্নেছার সাথে বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা এলাকার মৃত মাসুদ পারভেজের ছেলে সানজিদুল ইসলাম ইমনের বিয়ে হয়। ইমন পেশায় একজন গামর্ন্টেস কর্মী।
নববধূকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আনোয়ারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী সানজিদুল ইসলাম ইমন।
এতে আসামি করা হয়- মোছাম্মৎ মেহেরুন্নেছা (২৫), শ্বশুর আবু তৈয়ব (৫৬), শাশুড়ি সামন্নাহার (৪৮), মো. বখতেয়ার (২৭) ও মো. মহিউদ্দিন (৪৫)।
অভিযোগে ইমন উল্লেখ করেন, স্ত্রী নিখোঁজের পর শ্বশুড়-শ্বাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোন তথ্য দিতে পারেননি। বরং অসংলগ্ন ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন শশুর বাড়ির লোকজন। এতে ইমনের সন্দেহ হয় মো. বখতেয়ারের সাথে তার স্ত্রীর বিয়ের পূর্ব সম্পর্কের প্রেক্ষিতে অজ্ঞাত স্থানে গিয়ে আত্মগোপন করে আছে।
ভুক্তভোগী সানজিদুল ইসলাম ইমন বলেন, বিয়ের ৯ দিন পর আমার শাশুড়ি সামসুন্নাহার ও বউয়ের মামাতো ভাই মহিউদ্দিন আমার স্ত্রীকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। তখন আমি বাড়ি ছিলাম না। স্ত্রী যাওয়ার সময় স্বর্ণ ও নগদ ৩০ হাজার টাকাও নিয়ে গেছে। পরের দিন বিকালে আমি ফোন করলে শশুর বাড়ির লোকজন আমাকে জানায় আমার স্ত্রী কোথায় চলে গেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে কোন তথ্য আমাকে দিতে পারেনি। আমি সেনাবাহিনীর পরামর্শে থানায় অভিযোগ করেছি।
তিনি আরও জানান, বিয়েতে আমি তিন লাখ টাকা খরচ করেছি। এর মধ্যে দেড় লাখ টাকা এনজিও সংস্থা আশা থেকে ঋণ নিয়েছি। ওই ঋণ আমি এখনো শোধ করতে পারিনি।
এ বিষয়ে মেহেরুন্নেছার পিতা আবু তৈয়বের মুঠোফোনে কল দিলে তার ছেলের বউ পরিচয়ে বলেন, আমরাও বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছি।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ওই নববধূ বাবার বাড়ি থেকে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এখানে অন্য বিষয় আছে। তারপরও বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসএ