বান্দরবানে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, ঝুঁকিতে লামা উপজেলা

বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বান্দরবানের লামা উপজেলা। তাছাড়াও আলীকদম ও সদর উপজেলায়ও দিনদিন মারাত্মক আকার ধারন করছে বলে জানিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বিগত একমাসে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে বান্দরবান সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে। তার মধ্যে বান্দরবানের শুধু লামা উপজেলায় প্রায় ৮শর ও বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের তথ্য মতে, ইনডোর আউটডোর মিলিয়ে বিগত একমাসে প্রায় ১৫৬ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ মিজানুর রহমান।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নাদিম বলেন, বিগত ২ মাসে শুধুমাত্র লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইনডোর ও আউটডোরে ২২৯ জন ডেঙ্গু রোগী সেবা নিয়েছে। তবে কোন রোগী মারা যায়নি।

তাছাড়া লামা উপজেলার আজিজনগর ও ফাইতং ইউনিয়নের প্র্যাক্টিসরত বেশ কয়েকজন পল্লী চিকিৎসক জানায়, বিগত ১ মাসে শুধু এই ২ ইউনিয়নে প্রায় ৬শর চেয়েও বেশি রোগী চিকিৎসা নিয়েছে।

আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হানিফ জানায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিগত একমাসে ইনডোর আউটডোর মিলে ৫০ জনের মতো চিকিৎসা নিয়েছে।

তাছাড়া বিগত একমাসে প্রায় শতাধিক ডেঙ্গু রোগির চিকিৎসা দিয়েছে বলে জানায় আলীকদম উপজেলার বেশ কয়েকজন পল্লী চিকিৎসক।

বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, সারা বাংলাদেশে যখন বর্ষার মৌসুম শুরু হয় তখন ডেঙ্গু আর ম্যালেরিয়া রোগী বৃদ্ধি পায়। সাধারণত মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই রোগ ছড়ায়।

কিন্তু এখন নভেম্বর মাসে এসেও এর প্রভাব রয়ে গেছে। বাড়ির পাশে, ঝোপ জঙ্গলে, খাল-বিল ও নালায় জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশার জন্ম হয়। তাই কোথাও পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না।

চাটগাঁ নিউজ/ইলিয়াছ/জেএইচ

Scroll to Top