সিপ্লাস ডেস্ক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ আরসা এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)র মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এসময় গোলাগুলিতে ১ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরও একজন।
নিহত রোহিঙ্গার নাম হামিদ উল্লাহ (২৭)। গুলিবিদ্ধ আহত রোহিঙ্গা মহিদ উল্লাহ (২৫)।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে নোম্যান্স ল্যান্ডের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ২ জন রোহিঙ্গাকে কুতুপালং আশ্রয় শিবির সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।
এদিকে, বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গ্রুপ আরসা এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন(আরএসও)-এর মধ্যে গোলাগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তের ওপারে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, বাইশফাড়ি’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। শূন্যরেখার আশ্রয় কেন্দ্র থেকে অনেক রোহিঙ্গা সীমান্তের এপারে কোনাপাড়া এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, “তমব্রু সীমান্তের ওপারের শূন্যরেখায় থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে এপারে। গোলাগুলির ঘটনাটি যেহেতু শূন্যরেখায় সেখানে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তারপরও সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে।”
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “সকাল থেকে অব্যাহত গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেখানে কী হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। গোলাগুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”
তবে এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।