বান্দরবানে পৃথক দুই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪

বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার ও আলীকদমে গুলিবিদ্ধ হয়ে পর্যটক নিহতের ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় বান্দরবান পুলিশ কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান পুলিশ সুপার মো.শহিদুল্লাহ কাওছার এ কথা জানান।

আটককৃতরা হলেন নাইক্ষ্যংছড়ি আজুখাইয়া এলাকার অছিয়র রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইছমাইল (২৭), মিয়ানমারের নাগরিক আলী উল্লাহের ছেলে রহমত উল্লাহ (৩২), মোহাম্মদের ছেলে আলী হোসেন (২৬)। ঢাকার শ্যামবাগ এলাকার জসিম উদ্দিন মীরের ছেলে মীর মাহাদী হাসান নাবিল (২০)।

পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাউছার বলেন, নিহত সৈয়দ নুরের সাথে অভিযুক্ত ইছমাইলের বন্ধুত্বের সুবাধে ইছমাইল ৭০,০০০ (সত্তর হাজার) টাকা ধার হিসেবে নেয়।

তিনি আরও বলেন, গত ১৮ জুলাই দুপুর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সৈয়দ নূরকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকার কাছাকাছি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং ছৈয়দ নুরকে মারধর করে তার মোবাইল থেকে স্ত্রীকে ফোন করে হত্যা করার হুমকি দিয়ে তার পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।

ছৈয়দের পরিবারের দাবি অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরও ফিরে না আসলে পরিবারের সদস্যরা থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

পরবর্তীতে গতকাল সোমবার (২১ জুন) দুপুরে উপজেলার ঘুমধুম ইউপির আজুখাইয়া এলাকার পাহাড়ের জঙ্গল থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মোহাম্মদ ইছমাইল (২৭), রহমত উল্লাহ (৩২), আলী হোসেন (২৬) নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অপরদিকে, গতকাল ২৬ জুলাই আলীকদমের কুরুকপাতা ইউপির ৯নম্বর ওয়ার্ডের তরনী পাড়ায় জুমঘরে রাত্রীযাপন করে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আগত ৫ জনের একটি পর্যটকের দল। জুমঘরের চালার মধ্যে থাকা একটি একনলা দেশীয় তৈরী গাদা বন্দুক পেয়ে অভিযুক্ত মীর মাহাদী হাসান নাবিল কৌতুহলবশত হাতে নিয়ে তার বন্ধু নিহত মো.ত্বোহা বিন আমিনকে মোবাইলে ছবি তুলতে বলে।

ছবি তোলার একপর্যায়ে বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দিলে বন্দুক থেকে সিসা গুলি বের হয়ে ভিকটিমের বুকের ডান পাশে লেগে গুরুতর আহত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেন। সংবাদ পেয়ে আলীকদম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ অভিযুক্ত মীরমাহাদী হাসান নাবিল (২০)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা এবং পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/ইলিয়াছ/এমকেএন

 

Scroll to Top