চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বাড়ির দখল নিতে ধন মিয়াকে (৭৮) কুপিয়ে জখম করেছে তাঁর প্রথম স্ত্রীর ঘরের সেঝো ছেলে মাসুক মিয়া।
সোমবার (২৮ জুলাই) উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের তারাউলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধন মিয়ার দুই হাত ও বাম পায়ের রগ কেটে গেছে। বুকে গুরুতর জখম হয়েছে। প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ধন মিয়াকে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ধন মিয়ার সাত ছেলে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে পাঁচ ও দ্বিতীয় স্ত্রীর দু’জন। প্রত্যেককে তিনি বাড়ি করে দিয়েছেন। আলাদা বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন ধন মিয়া। এটি দখলের পায়তারা করছিলেন মাসুক।
সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কাঁদতে কাঁদতে ধন মিয়া বলেন, ‘আমি কাউরে বঞ্চিত করিনি। প্রত্যেককে বাড়ি করে দিয়েছি। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে যে বাড়ি থাকি, মাসুক সেটির অর্ধেক দখল করে নিয়েছে। বাড়ি থেকে আমাদের তাড়ানোর জন্য সে চাপ দিচ্ছিল। সোমবার সকালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের সামনে বিকেলে একা পেয়ে মাসুক দা দিয়ে আমাকে কোপাতে থাকে। মাটিতে পড়ে গেলেও সে থামেনি। পরে আশেপাশের মানুষ ও অন্য ছেলেরা এলে সে পালিয়ে যায়।’
মাসুক মিয়ার ছোট ভাই কাউছার মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই মাসুক আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাঁর নামে ডাকাতি, হত্যা চেষ্টাসহ হবিগঞ্জ সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার ভয়ে আমিও বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ট্রমা সার্জন ডা. সোলায়মান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ধন মিয়া বয়স্ক মানুষ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার হাত-পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। একাধিক হাড় ভেঙে গেছে। শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় ধন মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ঢাকায় রেফার করেছি।’
নাসিরনগর থানার ওসি আজহারুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি তারা শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন