নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় নগর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন কর্মজীবীরা। তাই নগরীর বাজারগুলোতে কমে গেছে ক্রেতা। ক্রেতা কমে যাওয়ায় পাইকাররা তেমন সবজি আমদানি করছেন না। মজুদকৃত তুলনামূলক বাসী সবজি দিয়েই চলছে সদাই। এমন অবস্থায় আগের তুলনায় কমে গেছে সবজির সরবরাহ। চাহিদা থাকলেও যোগান না থাকায় সবজির দামও প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
নগরীর বহদ্দারহাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, চকবাজার কাঁচাবাজার, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহ পর্যন্ত শিমের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০টাকা/৫০ টাকায়। অথচ আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) তারিখে সেই শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। মাস খানেক ধরে ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শসার কেজি এখন ১০০ টাকা। ৩০ টাকার বেগুন চলছে ৯০ টাকায়। এতদিন বাঁধাকপি, ফুলকপি পড়ে থাকলেও কেউ ধরে দেখেনি। আজ সেই ফুলকপির কেজি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার তিত করলা ৭০-৮০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি আলুর কেজি ৫০-৬০ টাকা। মূলা ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, লাউ ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের বাসি কাকরল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
দাম বাড়লেও তরতাজা, টাটকা সবজি বাজারে তেমন নেই বললেই চলে। আশেপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজির সরবরাহ নগরের বাজারে আসলেও তা চাহিদার তুলনায় নেহাতই কম।
বহদ্দারহাট বাজারের সবজি বিক্রেতা ওসমান চাটগাঁ নিউজকে বলেন, শহরে এখন মানুষ নেই বললেই চলে। ঈদের ছুটিতে সবাই বাড়ি-ঘরে চলে গেছে। মানুষ নাই বাজারে। আমরা অল্প অল্প মাল আনছি। যাতে নষ্ট না হয়।
তবে গাজর, কাঁচামরিচ, টমেটোর দাম তুলনামূলক কম। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, টমেটো ২০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ