কাপ্তাই প্রতিনিধি: রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া কুটুরিয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারে প্রতি বছরের ন্যায় ৬দিন ব্যাপি বিদর্শন ভাবনা কর্মশালা বুধবার (১৭ জানুয়ারি) শেষ হয়েছে। এতে তিন পার্বত্য জেলা থেকে দেড় শতাধিক দায়ক-দায়িকাগণ অংশ নেন। এসময় পূজনীয় ভিক্ষু সংঘ ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন।
বিদর্শন ভাবনা কর্মশালার সমাপনী দিন সকালে কুটুরিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৩ বার মাঠ প্রদিক্ষণ করে পিন্ড শোভাযাত্রা, ভিক্ষু সংঘের পিন্ডদানসহ ধর্মীয় দেশনা অনুষ্ঠিত হয়। রাজস্থলী দি বুদ্ধ শাসনা হিতাকারী এসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় গত ১৩ই জানুয়ারি শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় এই বিদর্শন ভাবনা কর্মশালা।
জগতের সকল সত্বগণের চিত্তের ক্লেশ বিশুদ্ধির লক্ষে কুটুরিয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারের দায়ক-দায়িকা বৃন্দের আয়োজনে বিদর্শন ভাবনা কর্মশালায় বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন পরিচালনা করেন মায়ানমার সরকার কর্তৃক “আগগা মহা সদ্ধর্ম জ্যোতিকা ধ্বজা” উপাধি প্রাপ্ত ও বুদ্ধ শাসনা হিতাকারি সংঘের সভাপতি ও রাজস্থলী চুশাক পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত কিত্তিমা মহাথের। বিদর্শন ভাবনা সমাপনী উপলক্ষে ধ্যানীবৃন্দের পিন্ডচরণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে বলে কুটুরিয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহার অধ্যক্ষ উঃ চাইন্দাসারা ভিক্ষু জানান।
বিদর্শন ভাবনা কর্মশালায় অংশ নেওয়া অংসাপ্রু মারমা বলেন, বিদর্শন ভাবনার মধ্যে নির্বাণের পথ লাভ করা আমাদের উদ্দেশ্য। প্রতিবছর রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া কুটুরিয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিদর্শন ভাবনা কর্মশালা তিন পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ১৪০ হতে ১৫০ জনের মতো দায়ক-দায়িকা ও ধ্যানীবৃন্দের অংশগ্ৰহন করে।
কুটুরিয়া পাড়া বৌদ্ধ বিহারে মনোরম পরিবেশ থাকলেও বিদর্শন কর্মশালায় অংশগ্রহণ কারিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন তিনি। তার মধ্যে বিহারটিতে শৌচাগার, পাঠি, বালিশ, কম্বলসহ, মাঠ সংস্কার, অবকাঠামোর সমস্যা কথা তুলে ধরেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন