রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বাঘাইহাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজাতীয় আঞ্চলিক দলের সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির যুবক মো. নাঈম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুর থেকে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
নিহত নাঈম পেশায় একজন গাড়ীর হেলপার ছিলেন। তার বাড়ি ফটিকছড়ি নাজিরহাটে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
আজ বিকেল পাঁচটার সময় প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার। তিনি জানিয়েছেন-ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাঘাইহাট বাজারে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও সংস্কারপন্থী জেএসএস’র বিবদমান দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল মুখোমুখি অবস্থান নেয়। দুপুরের পরপরই উভয়পক্ষ বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে করে স্থানীয় বাঙ্গালী ও পাহাড়ি বাসিন্দারা দোকান-পাঠ ঘরবাড়ি ছেড়ে পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এদিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাঘাইহাটে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে শান্তি পরিবহণের এক হেলপার নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে হত্যকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বলেন, বাঘাইহাট বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ শান্তি পরিবহনের চালকের সহকারী নাঈম মারা গেছেন। তিনি সংঘর্ষে লিপ্ত দল ও গ্রামবাসীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বাঘাইহাট বাজারের পরিস্থিতি এখন শান্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান ওসি।
চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস