চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন এক্সেস রোড এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে যুবদলকর্মী মো. সাজ্জাদ নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় ৬ জনসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) থেকে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন—সবুজ ইসলাম মিরাজ, সাইদুল ইসলাম, এমরান হোসেন সাগর, জিহান, আমজিদুল ইসলাম সাজু, মোহাম্মদ আরাফাত, মো. ওসমান, দিদারুল আলম চৌধুরী রাসেল।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সিটি মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন তাঁর ছবি ব্যবহার করে নগরের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের টাঙানো ব্যানার তুলে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপর বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় লাগানো কিছু ব্যানার খুলে ফেলেন মো. জসিম নামের এক যুবদলকর্মী। এর মধ্যে শাহাদাত ও সিরাজের ছবিসহ বোরহানের একটি ব্যানারও ছিল। ব্যানার ছেঁড়ার কারণে রাতে জসিমকে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল তুলে নিয়ে যায়। আটকে রেখে মারধর করা হয়। জসিমকে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে তাকে ছাড়িয়ে আনতে যান ছাত্রদল-যুবদলের কিছু নেতা-কর্মী। এ সময় বাকলিয়া এক্সেস রোডে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন বোরহানের লোকজন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাজ্জাদের মৃত্যু হয়।
আসামিরা বাকলিয়া এলাকায় জায়গা দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। প্রধান আসামি বোরহান একসময় যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর গাজী সিরাজের ছবি দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সফলতা কামনা করে বেশ কিছু ব্যানার টাঙান তিনি।
মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘আমার ছেলেকে যুবদল নামধারী বোরহানের নেতৃত্বে গুলিতে খুন করা হয়েছে। তাঁকে যাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আটজনকে ধরেছে। তবে মূল আসামিসহ অস্ত্র যাতে উদ্ধার হয়। আমি খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘সাজ্জাদ হত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. আলম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় ডিবি ও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন







