সিপ্লাস ডেস্ক: কলকাতার নিউমার্কেটকে পশ্চিমবঙ্গের বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ বললে ভুল হবে না। বিদেশিদের কাছে, বিশেষ করে বাংলাদেশি পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের জায়গা এই নিউমার্কেট। বাংলাদেশের লোকজন কলকাতায় পা রাখলে এই নিউমার্কেট সংলগ্ন মার্কুইস স্ট্রিট, কিডস স্ট্রিট, সদর স্ট্রিট, টটি লেনের মতো বিভিন্ন জায়গার হোটেলগুলোতে অবস্থান করেন।
তবে কলকাতায় ক্রমাগত কমছে বাংলাদেশি পর্যটক। ফলে এখানকার ব্যবসায়ীদের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। বাংলাদেশি পর্যটক কম থাকায় ভাটা পড়েছে তাদের ব্যবসায়।
আগে যেখানে দিনে পাঁচ-ছয় হাজার পর্যটক আসতো নিউমার্কেটে, সেখানে এখন মাত্র চারশ-পাঁচশ পর্যটক আসছেন।
পর্যটক কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এ সময়টা বাংলাদেশি পর্যটকদের মৌসুম নয়। এমনিতেই এই সময়ে বাংলাদেশি পর্যটক কলকাতায় কম আসেন।
দ্বিতীয়ত, ভিসা সমস্যা তৈরি হয়েছে। একটি বড় সংখ্যক বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসা পাচ্ছেন না।
তবে স্থানীয়দের বিশ্বাস, এ সমস্যা কিছুদিনের মধ্যেই মিটে যাবে। কারণ জি-২০ সম্মেলন শেষ হলে বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভিসা পাওয়ার সমস্যা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু যদি বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিসা সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে করোনাকালে (লকডাউন) হোটেল ব্যবসায়ীরা যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন, আবারও সেই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশিদের ভারতীয় ভিসাপ্রাপ্তি যেন আরও সহজ করা হয়, তার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানাবেন কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া, হোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তারা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেন দ্রুত এ ভিসা সমস্যার সমাধান করা হয়।
শুধু হোটেল নয়, কলকাতা নিউমার্কেট এলাকার সদর স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, মার্কুইজ স্ট্রিটসহ পুরো এলাকার সব ধরনের ব্যবসাই বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। হোটেলের পাশাপাশি ওষুধ থেকে জামা-কাপড়, ছোট-বড় খাবারের হোটেল, এমনকি পরিবহন ব্যবসাও লাভের মুখ দেখে বাংলাদেশি পর্যটকদের আনাগোনায়।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে কলকাতা নিউমার্কেট চত্বরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। যদি বাংলাদেশি পর্যটক ভারতে কম আসে, তাহলে আখেরে ভারতের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।