ক্রীড়া ডেস্ক: ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ম্যাচে এসে ব্যাটিংয়ের সঙ্গে বাজে বোলিং আর ক্যাচ ফেলার মহড়াও দেখা গেল। ফলস্বরূপ আর বাঁচা গেল না হোয়াইটওয়াশ হওয়ার হাত থেকে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই সংস্করণে ৩-০ ব্যবধানে জিতে এসে ঘরের মাঠে একই ব্যবধানে দেখতে হলো হার। এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে ঘরের বাইরে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল। এর আগে ‘অ্যাওয়েতে’ তাদের সেরা সিরিজ ছিল ২০২০ সালের মার্চে, শ্রীলঙ্কায় ২–০ ব্যবধানের জয়।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ৮৯ রান সত্ত্বেও ১৫১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৫ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবিয়ানরা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি উইন্ডিজ। ৫২ রানে হারায় প্রথম ৩ উইকেট। তবে জয়ের পথে নিয়ে যায় রোস্টন চেজ ও আকিম অসাস্তের তৃতীয় উইকেট জুটি। এই সময়ে মাত্র ৪৬ বলে ৯১ রান যোগ করেন তারা।
জয় থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন চেজ। ২৯ বলে ৫০ রান করে কাজের কাজটা অবশ্য আগেই করে দেন তিনি। এক রান পর ফেরেন অগাস্তেও। কাটায় কাটায় ৫০ রান করে ফেরা এই ক্রিকেটার বল খেলেন মাত্র ২৫টি। ১টি চারের সঙ্গে হাঁকান ৫টি ছক্কা। শেষদিকে রিশাদ এই দুজনকে আউট করলেও আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি রোভম্যান পাওয়েল ও গুড়াকেশ মোতি।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এক তানজিদ ছাড়া কেউই আলো ছড়াতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন সাইফ হাসান। এর বাইরে কেউ দুই অঙ্কের রানই স্পর্শ করতে পারেননি। ৪ বলে ৯ রান করেছেন তাসকিন আহমেদ। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৩ উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। হ্যাটট্রিকও পেয়ে গেছেন তিনি। ইনিংসের শেষ ওভারে তানজিদকে আউট করার পরের বলে শরীফুলকে বোল্ড করেছেন শেফার্ড। এর আগে নিজের আগের ওভারের শেষ বলে নুরুল হাসান সোহানকে আউট করেছিলেন তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ






