ক্রীড়া ডেস্ক: ছোট লক্ষ্য পেলেও জিম্বাবুয়েকে কষ্ট করতে হয়েছে বেশ। ভালো শুরুর পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে তারা। তবে হতাশ হতে দেননি ওয়েসলি মাধেভেরে। শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়ে চার বছর পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতিয়েছেন দলকে।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৯১ রানে। জবাব দিতে নেমে ২৭৩ রান করে সফরকারীর। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৫৫ রান করায় জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রান। যা তাড়া করলেও ৭ উইকেট পর্যন্ত হারাতে হয় তাদের।
আজ চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় বলেই বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে দেন মুজারাবানি। আগের দিন ৬০ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত শর্ট বল পুল করতে গিয়ে টাইমিং মিস করেন, বল উঠে যায় আকাশে, আর লং লেগে দাঁড়ানো নিয়াউচি কোনো ভুল না করে ক্যাচটি লুফে নেন। ১০৫ বলে ৬০ রানে থেমে যায় শান্তর ইনিংস।
এরপর মিরাজ এসেই আগ্রাসী শুরু করেছিলেন। মুজারাবানিকে বাউন্ডারি মেরে আভাস দিয়েছিলেন লড়াইয়ের। কিন্তু সে চেষ্টা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ১৬ বলে ১১ রান করে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনিও—মুজারাবানিরই শিকার। ইনিংসে এটি ছিল মুজারাবানির পঞ্চম উইকেট, টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি।
মিরাজের পর খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি তাইজুল ইসলামও। মাত্র ৩ বল খেলে ১ রান করে এনগারাভার বলে উইকেটকিপার মায়াভোর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এই ধাক্কাগুলোর পর হাল ধরেন জাকের আলী ও হাসান মাহমুদ। জাকের ফিফটি তুলে নিলেও ১২ রান করে বিদায় নেন হাসান মাহমুদ। এরপর খালেদ আহমেদ প্রথম বলেই আউট; চাপে পড়ে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন জাকের। কিন্তু তাকেও থামিয়ে দেন মুজারাবানি। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকের।
শেষ পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। তাতে লিড দাঁড়ায় ১৭৩ রানের। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৬ উইকেট নেন মুজারাবানি। দুটি উইকেট পান মাসাকাদজা। একটি করে উইকেট নেন নিয়াউচি ও এনগারাবা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারেন। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৫ রান করে জয়ের ভিত গড়ে দেন তারা। বেন কারেনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মিরাজ। ৭৫ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন জিম্বাবুয়ে ওপেনার। এরপর দ্রুত বিদায় নেন নিক ওয়েলচ (১০) ও শন উইলিয়ামস (৯)।
আরেক ওপেনার বেনেট ফিফটি হাঁকিয়ে লড়তে থাকলেও তাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মিরাজ। ৮১ বলে ৫৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। জয়ের আশা তৈরি হয় বাংলাদেশের। তবে সেই আশা ম্লান করে দেন মাধেভেরে। বাকিদের আসা-যাওয়ার মাঝে চালান লড়াই। ৫৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মাঝে ২০ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মাসাকাদজা।
বাংলাদেশের হয়ে ৫টি উইকেট নেন মিরাজ। বাকি দুটো উইকেট তাইজুল ইসলাম।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ