নিজস্ব প্রতিবেদক : তৈলাক্ত-পিচ্ছিল বাঁশের উপরে বসে বালিশ নিয়ে দুইজনের যুদ্ধ! নিচে পড়লেই বিপদ, খেতে হবে ময়লাযুক্ত পানি! যে আগে পড়ে যাবে সে হবে ডিসকোয়ালিফাই। মজার এই খেলার নাম দেওয়া হয়েছে বালিশ যুদ্ধ।
রোববার (১০ মার্চ) নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের প্যারেড গ্রাউন্ডে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের সভাপতিত্বে এই ক্রীড়া উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এআইজি মো. মাহবুবুর রহমান।
মাঠের আরেক পাশে চলছে সুরের তালে তালে বালিশ বদলের প্রতিযোগিতা। বাচ্চাদের বিস্কুট দৌড় থেকে শুরু করে অতিথিদের বেলুন ফুটানোর, দৌড় প্রতিযোগিতা- কি ছিল না সিএমপির এই ক্রীড়া উৎসবে? প্রতিযোগিদের সবাই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা অংশ নিয়েছেন এই ক্রীড়া উৎসবে। পুলিশের স্ত্রীরাও অংশ নিয়েছে প্রতিযোগিতায়, জিতেছেন পুরস্কারও।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব খেলার দেখা মিলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপি’র উদ্যোগে আয়োজিত বার্ষিক পুলিশ সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিদের পাশাপাশি দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এসব মজার মজার খেলা। তবে বালিশ যুদ্ধ প্রতিযোগিতায় দর্শকদের ভিড় ছিল বেশি। কিছুক্ষণের জন্য যেন তারা ফিরে পেয়েছে হারানো শৈশব
যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা। অথচ এক সময় এসব খেলায় মেতে থাকতো তরুণ-তরুণীরা। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব খেলাগুলো নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ প্রসংসিত হয়েছে পুরা চট্টগ্রামে।
এসময় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ সহ পুলিশ কর্মকর্তা, পুলিশ পরিবারের সদস্য, সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ব্যবসায়ী সহ সকল স্তরের পুলিশ সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ