বাঁশখালী পৌরসভা আস্করিয়া সড়কের বেহাল দশা, ভোগান্তিতে মানুষ

বাঁশখালী প্রতিনিধি: সড়কের পিচ ও পাথর উঠে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। কোথাও কোথাও পানি জমে আছে। প্রথম দেখায় মনেই হয় না এটি সড়ক। সড়কটির বেহাল হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

এই সড়ক পুরো বাঁশখালীর মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হলেও মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্টদের। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী এবং ট্রাক,সিএনজি, রিক্সাসহ নানা শ্রেণির যানবাহন ও মানুষের চলাচলের পথ।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকার কিছু ভূমিদস্যু পানি নিষ্কাশনের ড্রেন দখল করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করার অভিযোগ থাকলেও তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। স্থানীয় লোকজন বলছে প্রতিদিন এই ময়লা পানিতে পড়ে কাপড় নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ও ঘটে।

অন্য দিকে ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর এই রাস্তায় বেহাল অবস্থা নিয়ে জনপ্রিয় অনলাইন সিপ্লাসে টিভিতে সংবাদ পরিবেশন হয়। এর পরে ২০১৯ সালে সরকারি ভাবে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় সংস্কারের জন্য। কাজের মান নয় ছয় হওয়ায় আবারও রাস্তা পুরানো অবস্থায় ফিরে গেছে। বর্তমানে এলাকাবাসীর একটাই দাবি এই সড়কের বেহাল দশা থেকে মুক্তি একই সাথে সরকারি কাজ সুষ্ঠুভাবে যেন হয়।

ভুক্তভোগীরা বলেন, এই সড়কটি মেরামত হওয়ার পরের বছর থেকে এই ভাবে বিভিন্ন স্থানে পানি জমতে জমতে গর্ত সৃষ্টি হয়। দিনে যেমন তেমন রাতের বেলা যদি কেউ এই গর্তে পড়ে কিংবা প্রচুর বৃষ্টি থাকে তাহলে পানির স্রোতে একটা মানুষের জীবন নিমিষেই শেষ হবে।

সাধারণ পথচারীর বলেন, এই সড়কটি পুরো পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে হলেও সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। আমার বাচ্চাদের ঠিকমতো মত স্কুল আনা নেয়া করা খুবই কষ্টকর। এটা আস্করিয়া সড়ক না বলে আস্করিয়া খাল বললে ভুল হবেনা।

এই বিষয়ে দায়িত্বরত বাঁশখালী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইসমাঈল ভূইয়া বলেন, এই সড়কের জন্য বর্তমানে ২৩ কোটি টাকার উপরে বরাদ্দ আছে। আমি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দিবো কাজটি যেন তাড়াতাড়ি করে। অতীতে বরাদ্দকৃত কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সরকার যেহেতু পুনরায় বরাদ্দ দিয়েছে এইবার সঠিকভাবে যেন কাজটা করতে পারে সবার সহয়োগিতা চাই।

চাটগাঁ নিউজ/জসীম/এমকেএন

Scroll to Top