বাঁশখালীর সাবেক এমপি কন্যার বিরুদ্ধে মামলা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য শেয়ার করার অভিযোগে বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী কন্যা রওকতুনুর প্রিয়তাসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাঁশখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. শফকত হোসাইন চাটগামী। তিনি স্থানীয় দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চের বাঁশখালী উপজেলা প্রতিনিধি।

মামলার অন্য আসামি হলেন- মোরশেদুল রহমান নাদিম। এছাড়া একই মামলায় অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ হয়, গত ৬ জুলাই মোরশেদুল রহমান নাদিমের ফেসবুক আইডিতে মো. শফকত হোসাইন চাটগামীকে সমাজে অপমানিত, অপদস্থ, হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করার উদ্দেশ্যে ছবি ব্যবহার করে ‘চাটগামী’ নাম বিকৃত করে বক্তব্য প্রচার করেন। ফেসবুক আইডিতে নাদিম লিখেন ‘এই চাটগামী মাদ্রাসায় পড়া কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীর মায়েদের সঙ্গে গোপন সম্পর্কে লিপ্ত। এই বাটপারকে যেখানে পান, সেখানে ধোলাই দিন। মাদ্রাসা নামের কসাই খানায় ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের নিকট থেকে বিভিন্ন উসিলায় জোর পূর্বক টাকা আদায় করতে পারে মতন। ’

এছাড়াও গত ৭ জুলাই পুনরায় নাদিম লিখেন, ‘এই চেটগামী কত বড় বাটপার কত বড় ধোকাবাজ, ভিডিও রেকর্ডটি শুনলে বুঝবেন। এই বাটপার চেটগামী এখন বাঁশখালীর নতুন এমপির নিকট ভালো সাজার জন্য মোস্তাফিজ সাহেবকে কল দিয়ে ইচ্ছে করে গালি শুনে এবং তা রেকর্ড করে ফেইসবুকে দিয়ে নতুন এমপি সাহেবের নিকট ভালো সাজতে চাচ্ছে। ইতা বউত বড় ব্ল‍্যাকমেইলার। ’

এদিকে, আসামি রওকতুনুর প্রিয়তা মামলার বাদী মো. শফকত হোসাইন চাটগামীকে সমাজে অপমানিত, অপদস্থ, হেয় প্রতিপন্ন ও মানহানি করার জন্য ‘হা হা হা’ শিরোনামে নাদিমের পোস্ট নিজের ওয়ালে শেয়ার করেন। নাদিম ও প্রিয়তা পিতার নির্দেশ ও সহায়তায় তাদের মতের ও দলের অজ্ঞাতনামা ‘অ বদ্দা অ বব্বু’ ছদ্মনাম ব্যবহার করা ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন অপ্রচার ও বক্তব্য প্রচার করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী মোশাররফ হোসেন খান জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন মোরশেদুল রহমান নাদিম এবং একই পোস্টটি শেয়ার করেন এমপি কন্যা রওকতুনুর প্রিয়তা। তাদের দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও একজনের নামে ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করা হয়। ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রামকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top