চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাঁশখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
এর আগে বুধবার লেয়াকত আলীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। গন্ডামারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খামারুপাড়া এলাকায় লেয়াকত আলীর বাড়ি থেকে ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭২ রাউন্ড গুলি, ২৬টি কার্তুজ পাঁচটি চাইনিজ কুড়াল, একটি কিরিচ, ছয়টি রাম দা এবং ৪০টি লাঠি উদ্ধার করা হয়।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমদ বলেন, একটি মহল লেয়াকত আলীকে দিয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের চেষ্টা করছিল। লেয়াকত সরকারি স্থাপনা টার্গেটে রেখে লোকজন দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছিলেন। ডাকাতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতিতে জড়িত কাউকেই আর ছাড় দেবে না পুলিশ।
ওসি (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, লেয়াকত আলীর বিরুদ্ধে খুন, চাঁদাবাজি, পুলিশের ওপর হামলা, দস্যুতা, ভয়ভীতি, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধে ২১টিরও বেশি মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে ড্রেজিংয়ের জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজনের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় লেয়াকত আলীর অনুসারীরা। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় লেয়াকত ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং পুলিশ মামলা করে। এ মামলায় ৯ ফেব্রুয়ারি ভোরে চট্টগ্রামের সুগন্ধা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর