বাঁশখালী প্রতিনিধি: গত ২০১৮ এবং ২০২০ সালে র্যাব-৭ চট্রগ্রামের হাতে মহেশখালী-কুতুবদিয়া- পেকুয়া এবং বাঁশখালী অঞ্চলের আত্মসমর্পণকৃত ৭৭ জন আলোর পথের অভিযাত্রীদের মাঝে র্যাব মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ একই সাথে তাদের বর্তমান জীবন যাপনের উপর একটি বিশেষ মত বিনিময় সভা আজ সকাল ১১ টায় বাঁশখালী উপজেলা হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও চট্টগ্রাম র্যাব ৭ এর অধিনায়ক মাহবুব আলম, র্যাব-৭ চট্টগ্রামের মেজর ও কোম্পানি কমান্ডার মেহেদী হাসান, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন, বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি খন্দকার মাহমুদুল হাসান, র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও মিডিয়া অফিসার নুরুল আফসার, বাঁশখালীতে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক মাহবুব আলম মতবিনিময় সভায় বলেন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে চলছে। র্যার-৭, চট্টগ্রামে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত,চাঁদাবাদ, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রচারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগণের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
একই সাথে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের বিশেষ অভিযান এবং কঠোর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গত ২০১৮ সালে ৪৩ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়। এবং তাদের আত্মসমর্পণ পরবর্তী সময়ে র্যার-৭, চট্টগ্রাম কতৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে। আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের সমাজে স্বস্তির কথা স্বাভাবিক জীবন যাপন ও র্যাবসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সহযোগিতার মনোভাবের কথা বিবেচনা করে গত ২০২০ সালে র্যাব-৭, চট্টগ্রামে আরও ৩৪ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুর র্যাবের এ রূপ মানব কল্যাণমূলক কর্মকান্ডে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ ও অপকর্ম থেকে ফিরে এসে সুন্দর ভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা যোগানোর কথা প্রকাশ করেছে।