বাঁশখালী প্রতিনিধি: বাঁশখালী পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডস্থ বাহারুল্লাহপাড়া জলদী আধুনিক হাসপাতালের বিপরীতে মায়ের দোয়া বেকারীর ভিতর শাহ আলম নামে একজন বেকারী কর্মচারী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় একটি মেয়েকে উত্যক্ত করার জের নিয়ে এই বেকারীর অন্য কর্মচারী মাহবুবের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মালিক পক্ষ এসে বিষয়টি সমাধান করে। কিন্তু গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে কথা কাটাকাটির জের নিয়ে একটি লাটি দিয়ে শাহ আলমকে মাথায়, চোখে, ডান কানে আঘাত করে চলে যায় মাহবুব। পরে সবাই ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠে দেখতে পায় শাহ আলম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ওখানে থেকে শাহ আলমকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত শাহ আলম চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ রুপকানিয়া, ৯নং ওয়ার্ড মাইজপাড়ার মৃত নুর আহমেদ এর পুত্র।
জানা যায়, বাঁশখালী পৌরসভা মায়ের দোয়া বেকারীতে কর্মরত শারমিন এর সাথে ভিকটিম শাহ আলম দুষ্টমি ও ঠাট্টা মশকারী করায় বেকারীর অন্য কর্মচারী মাহাবুব রহমান উক্ত বিষয় নিয়ে ভিকটিম শাহ আলমের সাথে তর্কে জড়িয়ে যায়।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং মাহাবুব উত্তেজিত হইয়া ময়দা মাখার টিন ভিকটিম শাহ আলমের দিকে ছুড়ে মারে। বেকারীর ম্যানেজার আসিফ ও কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীরা দুইপক্ষের ঝগড়া থামাইয়া দেয় এবং বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম শাহআলম বেকারীর মালামাল নিয়ে বাহিরে চলে যায়। গতকাল রাত ৮:৩০ টার সময় ভিকটিম শাহ আলম বেকারীতে এসে ম্যানেজারকে হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে রাতের খাবার শেষে যার যার মত করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। বেকারীতে কর্মরত মুনছুর, জাহিদ,আবু কালাম ফজরের নামাজ পড়ার জন্য আজ ভোর ৫:৪০ টার সময় মসজিদে যায়। ফজরের নামাজ শেষে ভোর ৬:২০ টারসময় বেকারীতে এসে দেখে ভিকটিম শাহ আলম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার পাশে একটি গাছের লাঠি ছিল। পরবর্তীতে বেকারীতে কর্মচারীরা ভিকটিম শাহ আলম (৪৫)কে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের লক্ষ্যে বাঁশখালী থানার এসআই(নি:) মং থোয়াই হ্লা চাকমা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে সুরতহাল রিপোর্ট এর জন্য।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ তোফায়েল আহমেদ বলেন, সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে শাহ আলম নামের একজন লোক খুন হয়। আমরা নিহত ব্যক্তিকে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার নাই তবে এজাহার প্রাপ্তি সাপেক্ষে গ্রেফতার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর