বাঁশখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে ১২ টি বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রবিবার (১২ নভেম্বর) রাত ৮টায় খানখানাবাদ ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে কোনো হতাহত না হলেও প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের। অন্য দিকে ১২ টি পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবতার জীবন যাপন করছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন খানখানাবাদ ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরী বাড়ির বদি আহমদ, ছরওয়ার আলম, মো. করিম, মো. মিয়া, মো. সাদ্দাম, মাহবুব আলম, আহমদ কবির, আবু তালেব, জয়নাল আবেদীন, হাফেজ আলমগীর, মো. লোকমান, জালাল। যোগাযোগ ব্যবস্থা জরাজীর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরী হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। অন্য দিকে স্থানীয় সমাজিক সংগঠনের লোকজন স্বেচ্ছায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল।
বিশেষ করে সমাজিক সংগঠন খানখানাবাদ যুব সমাজ উন্নয়ন পরিষদের সদস্যসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ সহযোগিতায় কাজ করেছে।
১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ১২ টি বাড়ি ঘরের মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাড়া প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসায় ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
খানখানাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমিসহ এলাকার জনগণ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। আগুনে ১২টি বাড়ির প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সহ সব পুড়ে যায়। এদের পরণের কাপড় ছাড়া আর কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। বাড়ির মালিকদের সাথে কথা বলে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। আমার ব্যক্তিগত ও খানখানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে শুকনো খাবার সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রদান করা হবে।
অন্য দিকে নিজ গ্রামে আগুন লাগার খবর শুনে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবকলীগের প্রতিষ্টাতা আহবায়ক এ.এইস.এম জিয়া উদ্দিন এই ব্যাপারে সাহায্যের জন্য সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন আমি ব্যক্তিগত কাজে রাজধানীতে আছি তবে কাজ শেষ করে খুব তাড়াতাড়ি নিজ গ্রামে ফিরে খোলা আকাশের নিচে মানবতার জীবন যাপনকৃত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো।