বাঁশখালীতে অবৈধ মাঠি খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান

বাঁশখালী প্রতিনিধি: বর্তমানে সারা দেশে চলছে শুষ্ক মৌসুম। চারদিকে রাস্তা ঘাট ও শুকনো। আর এই শুষ্ক মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে বাঁশখালী’র বিভিন্ন স্থানে চলছে মাঠি কাঁটার মহোৎসব। পাহাড় কাঁটা,জমির টপ সয়েল নষ্ট করে মাঠি কাটা,খাল খননের নামে মাঠি বিক্রি সহ প্রশাসনের ব্যাপক অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে রাত দিন নির্ঘুম এবং নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড় কিংবা সমতলের মাঠি।

১৯৯৫ সালের বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে পাহাড় কাটার ব্যাপারে বিধি নিষেধ থাকলে ও বাঁশখালী’র বিভিন্ন স্থানে কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই দিন রাত পাহাড় কাটা, মাঠির টপ সয়েল নষ্ট করে মাঠি বিক্রি সহ করেই যাচ্ছে নানা ধরনের দস্যুতা।

আর এই দস্যুদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে জনস্বার্থে দিনরাত নির্ঘুম অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান।

প্রতিনিয়ত অভিযানের অংশ হিসেবে (১৩ ফেব্রুয়ারি) সোমবার বিকাল ৪.০০ ঘটিকা হতে রাত ৭.১৫ টা পর্যন্ত বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এই সময় সাঙ্গু নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুইটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের জিম্মায় দেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যার পর খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডোংরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় এই সময় অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কাটার সময় একটি স্ক্যাভেটর ও মাটি ভরতি তিনটি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্ক্যাভেটর টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য মো:দিদারুল আলমের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং আটককৃত ডাম্পার জব্দ করে উপজেলায় রাখা হয় বলে জানা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খন্দকার মাহমুদুল হাসান মুঠোফোনে বলেন, বাঁশখালী উপজেলার খানখানাবাদ ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এই সময় সাঙ্গু নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় দুইটি ড্রেজার মেশিন জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের জিম্মায় দেওয়া হয়। আবার সন্ধ্যার পর খানখানাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডোংরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয় এই সময় অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কাটার সময় একটি স্ক্যাভেটর ও মাটি ভরতি তিনটি ডাম্পার ট্রাক জব্দ করা হয়। জব্দকৃত স্ক্যাভেটর টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ সদস্য মো:দিদারুল আলমের জিম্মায় দেওয়া হয় এবং আটককৃত ডাম্পার জব্দ করে উপজেলায় রাখা হয়। জনস্বার্থে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

Scroll to Top