বাঁশখালী প্রতিনিধি: বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে দ্বগ্ধ হয়ে ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ড কর্মকার পাড়ায়। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে দুটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতি আনুমানিক ৭ লক্ষাধিক টাকা বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।
গতকাল শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬:৩০ মিনিটের দিকে চাম্বল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কর্মকার পাড়া সুখেন্দু কর্মকার বাড়ীতে এ অগ্নিকণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে প্রতিবন্ধী সুখেন্দু কর্মকার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে মারা যায়। পুড়ে যাওয়া ২টি ঘরে তার ৪ পুত্রের বসতঘর ছিল।
আগুনে পুড়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী মহিলা শ্যামলী কর্মকার জানান, হঠাৎ আগুন দেখে আমরা অবাক হলাম। ঘরে কেউ ছিল না। এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতেছি। হঠাৎ আগুন দেখে দৌড়ে এসে ভিতরে ডুকার চেষ্টা করেও আগুনের তীব্রতায় ডুকতে পারিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিদ্যুৎতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। মূহুর্তের মধ্যে আগুনে আমাদের একই পরিবারের ২টি ঘরে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে তারা বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসে অবগত করলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করে।
নিহতের পুত্রবধূ রেভা কর্মকার জানান, আমি পাশ্ববর্তী বাড়িতে ছিলাম, বাড়ির ভিতরে আমার অসুস্থ শ্বশুর একাই ছিল। অনেক চেষ্টা করেও আমরা তাকে ঘর থেকে বের করতে পারলাম না।
নিহত সুজন কর্মকারের ছেলে লবু কর্মকার জানান, বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে দৌড়ে এসে দেখলাম আমার অসুস্থ পিতা আগুনে পুড়ে মারা গেছে।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ মো. আজাদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছাই। আমরা যাওয়ার আগেই স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় একই পরিবারের ২টি বসতঘর পুড়ে যায়। এসময় অসুস্থ অন্ধ সুখেন্দু কর্মকার নামে এক ব্যক্তি আগুনে পুড়ে মারা যায়। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। বৈদ্যুতিক তার থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে এ আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের এলাকায় অগ্নি কান্ড হয়েছে সেটার খবর পেয়ে আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নতুন করে একটা বাড়ি তৈরী করিয়ে দেয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি। একই সাথে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং শুখনো খাবার প্রদান করেছি। আশা করছি তাদের ঘরটি আমি করে দিতে পারবো।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল খালেক পাটোয়ারী, থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ।