বিনোদন ডেস্ক: মারা গেছেন বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। কিংবদন্তি এই অভিনেতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা করণ জোহার। এছাড়াও ভারতীয় জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফিল্মফেয়ার থেকেও খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। পত্রিকাটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, বলিউডের বর্ষিয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র মারা গেছেন।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) ৮৯ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করছেন। তার মৃত্যুর মধ্যদিয়ে ভারতের সিনেমার ছয় দশকের একটি সোনালি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি হলো।
এদিকে, সম্প্রতি শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। সে সময়ও তার মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। অবশেষে সব গুঞ্জন থামিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেন ধর্মেন্দ্র।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে গত অক্টোবরের শেষের দিকে তাকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে মাত্র ১২ দিন আগেই তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। আজ সোমবার সকালে নিজ বাড়িতেই পরপারে পাড়ি জমালেন বরেণ্য এই অভিনেতা।
এদিন সকালেই মুম্বাইয়ে ধর্মেন্দ্রর জুহুর বাসভবনের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে দেখা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে ব্যারিকেড বসিয়ে সাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI) টুইট করে জানায়, প্রবীণ অভিনেতার বাড়িতে তারকারা আসতে শুরু করেছেন। সালমান খান, শাহরুখ খানসহ অনেকেই সেখানে উপস্থিত হন।
ভারতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম প্রবীণ এই অভিনেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করলেও পারিবারিকভাবে এখনও কোনো ঘোষণা আসেনি।
রহস্য তৈরি হয়েছে- মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লে শ্মশান ঘিরে। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, সেখানে হেমা মালিনী, সানি দেওল, ববি দেওলসহ পুরো পরিবারকে দেখা গেছে। এমনকি অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চনও সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু পরিবারের সবাই শ্মশানে, অথচ মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই; এ নিয়ে এক পর্যায়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।
যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, কয়দিন আগে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তিকর ছড়ানোয় এবারে কিংবদন্তির প্রয়াণ নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখছে দেওল পরিবার।
উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ সিনেমার মধ্যদিয়ে বলিউডে অভিষেক ঘটে ধর্মেন্দ্রর। ষাটের দশকে ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘অনপধ’, ‘বন্দিনী’, ‘অনুপমা’ এবং ‘আয়া সাওয়ান ঝুম কে’র মতো সিনেমায় সাধারণ মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মন জয় করেন।
পরবর্তীতে তিনি অ্যাকশন এবং রোম্যান্টিক হিরো হিসেবে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। ‘শোলে’, ‘ধরম-বীর’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘মেরা গাও মেরা দেশ’ এবং ‘ড্রিম গার্ল’র মতো কালজয়ী সিনেমাগুলো তাকে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। তার সুঠাম দেহ এবং অ্যাকশনের জন্য ভক্তরা তাকে ভালোবেসে ‘হি-ম্যান’ উপাধি দিয়েছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন






