বর্ষার তিন মাস ওয়াসাকে সড়ক কাটতে বারণ করলেন মেয়র

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : বর্ষার তিন মাস সড়ক কাটাকুটি না করার জন্য নিদের্শনা দিয়েছেন জানিয়ে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আমরা সব সেবা সংস্থার সঙ্গে বসে সমন্বিতভাবে কাজ করছি। সড়ক, ড্রেনেজ ও জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় তিন মাসের জন্য একটি ‘কনটিনিউয়াস মনিটরিং’ সিস্টেম চালু করা হয়েছে। ওয়াসাকে বলা হয়েছে বর্ষার তিন মাস যেন তারা সড়ক কাটাকাটি না করে। একইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে তারা স্লুইসগেট সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ও পাম্পিং হাউজের ব্যবস্থা করে।”

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও নালা-নর্দমা পরিদর্শনকালে মেয়র এ কথা জানান।

তিনি টাইগারপাস থেকে শুরু করে বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাপাসগোলা, ফরিদাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা, নালা এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো পর্যবেক্ষণ করেন।

পরিদর্শনকালে ফরিদা পাড়ার একটি পাঁচতলা ভবনের জানালা থেকে একজন বাসিন্দা নালায় ময়লা ফেললে তাৎক্ষণিকভাবে মেয়র নিজেই মোবাইল ফোনে ভবন মালিককে কল করে সতর্ক করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করলে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান।

তিনি বলেন, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত নগরের বিভিন্ন সড়ক চসিকের ইঞ্জিনিয়ারসহ সরেজমিনে দেখেছি। মনে হয়েছে নগরের বেশ কিছু নালা অপরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছিল অতীতে। যার কারণে বৃষ্টির পানি ঠিকমতো নিষ্কাশন হচ্ছে না। বর্ষাকালে আমাদের প্ল্যান নালাগুলো আমরা কন্টিনিউয়াস প্রসেসে ক্লিন রাখবো। এই জন্য এই তিন মাস নালা সংস্কারের কাজ চলবে। আর খাল সংস্কারের কাজ তো চলমান আছেই।

ইতোমধ্যে মঙ্গলবার নগরের জলাবদ্ধতা বিষয়ে সব সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আমরা বসেছি। আমরা কাজ করছি সমন্বিতভাবে। আমরা একটা কন্টিনিউয়াস মনিটরিংয়ের মধ্যে আছি। রাস্তা যেগুলো ভারী বর্ষণের কারণে খানা-খন্দ হয়ে গেছে সেগুলো আমরা রিপেয়ার চালিয়ে যাব। এখানে জোয়ারের পানির একটা ফ্যাক্টর আছে। সেজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমরা বলেছি তারা যাতে স্লুইসগেটগুলো নিয়ন্ত্রণ করে আর পাম্পিং হাউজের ব্যবস্থা করে।

তিনি বলেন, বৃষ্টির সময় শহরের কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে নালায় ময়লা ফেলা ও ড্রেনেজ লাইনের প্রতিবন্ধকতা। এ সমস্যা সমাধানে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। নাগরিক সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অভিযান ও প্রচারণা আরও জোরদার করা হবে। নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে শুধু সিটি করপোরেশনের নয়, নাগরিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমরা উন্নয়নকাজ করছি, কিন্তু নাগরিকদের যদি সচেতন না করি, তাহলে এই কাজগুলোর ফল ভোগ করা যাবে না। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

বাসার ময়লা নালা-খালে ফেললে আমরা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে জরিমানা করব। এ ময়লার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং পানি জমে সেখানে মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সেখানে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া, এডিস মসার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। তাই আমরা যদি স্বাস্থ্য সচেতন হই তাহলে আশা করি এই শহরটা ক্লিন হেলদি এবং সেফ হবে।

মেয়রের সঙ্গে ছিলেন চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফরহাদুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম, শাফকাত আমিন প্রমুখ।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

 

Scroll to Top