বন বিভাগের জমিতে অবৈধ ভবন নির্মাণ, কর্তৃপক্ষ ঘুমে

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জের নাকের ডগায় কোটি টাকা মূল্যের বনবিভাগের জায়গার উপর দিনরাত স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছে। বনবিভাগের রহস্যময় আচরণে একটি প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় জন ও পরিবেশ বিধ্বংসী এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছ মহাসড়কের ঈদগাঁ কলেজ গেইট সংলগ্ন এলাকায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিগত কদিন ধরে স্থানীয় একটি চক্র মেহেরঘোনা রেঞ্জের অধীন মহাসড়ক সংলগ্ন কোটি টাকা মূল্যের বনবিভাগের এ জায়গাটির চারপাশে টিনের বেড়ার আড়ালে অর্ধশতাধিক শ্রমিক দিয়ে দিনরাত অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

মেহেরঘোনা রেঞ্জ কার্যালয়ের নাকের ডগায় এ নির্মাণ কাজ চললেও রহস্যজনকভাবে স্থানীয় বনবিভাগকে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। জায়গাটির অবস্থান মহাসড়ক ও ঈদগাঁও কলেজ গেইট সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে হওয়ায় এর মুল্য আনুমানিক কোটি টাকার উপরে হতে পারে বলে ধারণা করছে সচেতন মহল।

এ জায়গার ২০ গজের মধ্যে স্থানীয় বনবিভাগের চলাফেরা হওয়ার পরেও কিভাবে চক্রটি এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিনে গেলে একটি দালাল চক্র তাদের নানা কায়দায় প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন।

স্থানীয় কয়েকজন লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, জায়গাটি মহাসড়কের পাশে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় ইতিপূর্বে একটি চক্র অপর একটি দখলদারের কাছ থেকে বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখলিস্বত্ব ক্রয় করে। বর্তমানে একই দালাল চক্র স্থানীয় বনবিভাগকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকরছে বলে দাবি করেন। এর পেছনে প্রভাবশালী একটি পক্ষও কাজ করছে। এসব পক্ষের সাথে নির্মাণ সিন্ডিকেটের বিশাল অঙ্কের অনৈতিক লেনদেন হওয়ায় স্থানীয় বনবিভাগ দেখেও না দেখার ভান করে আছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

তাদের অভিযোগ, মাথা গুজার ঠাঁই নেই এমন নি:স্ব কোন লোক যদি বনবিভাগের জায়গায় একটি ঝুপড়ি ঘরও তৈরির চেষ্টা করে, বনকর্মকর্তারা তা মুহূর্তেই গুঁড়িয়ে দেয়। তাদের এ ভুমিকায় মনে হয় বন আইন শুধু গরিবদের জন্য।

ঈদগাঁও মেহেরঘোনা বিট কর্মকর্তা ফিরোজ রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলে দায় সারেন। তবে মেহেরঘোনা রেঞ্জ কর্মকর্তা ও এসিএফের মোবাইলে বারবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন

Scroll to Top