বন কর্মকর্তার ১০ কোটি টাকার ‘বদলি বাণিজ্য’, তদন্তে দুদক

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রধান বন সংরক্ষক কর্মকর্তা ড. মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্যে ১০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর নন্দনকানন এলাকায় প্রধান বন সংরক্ষকের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম। এ সময় বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ এমরানে নেতৃত্বে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী দুদকের চার সদস্য এ অভিযানে অংশ নেন।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি একযোগে ৭৭ জন বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তাদের পছন্দমতো জায়গায় বদলি করা হয়। এসব বদলির জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে।

এছাড়া ফেনীতে বন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনের সময় রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একটি বাগান সৃজন প্রকল্পের ২ কোটি ৩১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগেরও তদন্ত করছে দুদক।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রধান বন সংরক্ষকের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। তিনি ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর বন সংরক্ষকের কার্যালয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। বন সংরক্ষকের কার্যালয় চট্টগ্রাম অঞ্চলের আওতায় মোট ১০টি বিভাগ রয়েছে। এসব বিভাগে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি একই দিনে তার স্বাক্ষরে ৭৭ জন কর্মচারী বদলি হয়। আমাদের কাছে অভিযোগ এখানে প্রতিটি বদলির জন্য অনেক টাকা লেনদেন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা বদলি বাণিজ্যে নেওয়া হয়েছে। এটা যাছাই-বাছাইয়ের জন্য আমরা এসেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম মেনে বদলি করা হয়েছে কিনা সেসব নথিপত্র আমরা নিয়েছি। প্রধান বন সংরক্ষককে দীর্ঘ তিন ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। উনি ফেনী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় একটি বাগান প্রকল্পে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছেন। কিছু নথিপত্র পেয়েছি। যেগুলো পাইনি সেগুলো কাল পাব। যারা বদলি হয়েছে তাদের প্রত্যেককে আলাদাভাবে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। সবার বক্তব্য নেওয়ার পর যাছাই-বাছাই করে আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন সংরক্ষক ড. মোল্যা রেজাউল করিম জানান, আমি ৫ আগেস্টর পর এখানে যোগদান করেছি। আমার বিরুদ্ধে দুদকের আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আশা করছি দুদক যাচাই-বাচাই করে অভিযোগের সত্যতা বের করবে।’

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top